রায়হান রাজীব : [২] করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় টালমাটাল পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা। এখন পর্যন্ত প্রাথমিকের ৩১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচ শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তা।
[৩] প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) ওয়েবসাইট বলছে, এখন পর্যন্ত ৪৮ জন শিক্ষক সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২০ জন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডিপিইর তথ্য মতে, এ পর্যন্ত প্রাথমিকের ২৭ শিক্ষক, ৩৬ কর্মকর্তা, ২২ কর্মচারী ও ১৩ শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করছেন অনেকে।
[৪] সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের কোনো খোঁজ নিচ্ছেন না। সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা যতটুকু সম্ভব খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু তাদেরকে সরকারিভাবে সহায়তা না করা হলে আরও অনেক শিক্ষক আক্রান্ত হবেন। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে। যা পরবর্তীতে প্রাথমিক শিক্ষাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে।
[৫] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমাদের বেতন হচ্ছে নিয়মিত তবে বেতন দিয়ে আমাদের সংসার চলে না। এজন্য সবসময়ই চাকরির পাশাপাশি কিছু একটা করতে হত আমাদেরকে। লক ডাউনের কারণে সেটি বন্ধ। যে কারণে করোনা আক্রান্ত অনেক শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিজেদের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সরকারের কাছে অনুরোধ এমন পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর দিন।
[৬] ডিপিই’র মহাপরিচালক ফসিউল্লাহ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সবার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কেউ আক্রান্ত হলে তার তথ্য সংগ্রহ করে আমরা প্রকাশ করছি। প্রাথমিক পরিবারের সবার চিকিৎসা নিশ্চিত করা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। সবার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ও সহায়তা দিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।