লাইজুল ইসলাম ও মহসীন কবির : [২] বুধবার (২৪ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
[৩] তিনি জানান, কোভিড-১৯ এ মোট মারা গেছেন ১৫৮২ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৯ শতাংশ। মৃতদের ২৮ জন পুরুষ ও নারী নয় জন। এদের মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে নয় জন, রাজশাহী বিভাগে ছয় জন, খুলনা বিভাগে সাত জন, ময়মনসিংহ বিভাগে তিন জন, সিলেট বিভাগে এক জন, বরিশাল বিভাগে এক জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৪ জন ও বাসায় মারা গেছেন তিন জন।
[৪] বয়স বিশ্লেষণে করে তিনি জানান, , ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আট জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে নয় জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দু’জন ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
[৫] তিনি জানান, ৬৬টি ল্যাবে কোভিড শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭২৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৬৪৩৩ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ছয় লাখ ৬০ হাজার ৪৪৪ জনের। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০৭ শতাংশ।
[৬] তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২০৩১ জন , মোট সুন্থ হয়েছেন ৪৯৬৬৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
[৭] অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৭৪৯ জনকে। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ২১ হাজার ৮৬১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৩ হাজার ১৫৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫১৮ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন আট হাজার ৭০৩ জন।
[৮] দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।
[৯] আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনায় এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৮০ হাজার ৯৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ লাখ ৬৯ হাজার ২২৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫০ লাখ ৬০ হাজার ৬০০ জন।