ফয়সাল হুসাইন, ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার: [২] তারিখ টা ছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখ। বাংলাদেশ যুবারা প্রথম বারের মত কোন বিশকাপ জয়ের স্বাধ পেয়েছিল।
[৩] সেই সাথে বিশ্বকে আরো একবার জানান দিয়েছিল বাংলাদেশের শক্তিমত্তা। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়েই বাংলাদেশ আসরে যোগ দিয়েছিল। অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবরুপ দিতে পেরেছিল আকবর আলীর দল।
[৪] দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশ যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছিল। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ লাড়াকু মানসিকতায় মুগ্ধ হয়েছিল বিশ্ব ক্রিকেট। দলপতি আকবর, রাকিবুল, তামিম ও শরিফুল যে উদ্যাম নিয়ে মাঠে নেমেছিল তা ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্মরণীয়ও হয়ে থাকবে।
[৫] আকবরের বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব যেমন সবার প্রশংসায় ভেসেছিল তেমনি জুনিয়র তামিমের আগ্রাসী ব্যাটিং বাংলাদেশকে জয় তুল নিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছিল। জাতীয় দলের অনেকে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলে বর্তমানে প্রতিপক্ষের জন্য হুমকিস্বরূপ মাঠে অবতরন করছে। রুবেল হোসেনের সাথে ভিরাটের রেসারেসি সেই অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে।
[৬] এখনো তার প্রতিচ্ছিবি মাঠে দেখা যায়। আগামীতে এই বিশ্বকাপজয়ী তরুণেরা অতিতের সব টাইগারদের ছাড়িয়ে একদিনের বিশ্বকাপ নিজেদের করে নেবে যা শুধুমাত্র সময়ের প্রতিক্ষা। পূর্ব ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ প্রথমবার একদিনের বিশ্বকাপ আসরে অংশগ্রহণ করেছিল।
[৭] তার পর থেকে প্রতিটি আসরে ধাপে ধাপে উন্নতি করে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় ২০১৫ ওয়ার্ল্ড কাপে কোয়াটার ফাইনাল খেলা টিম টাইগার। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের যেকোন দলের জন্য শক্ত প্রতিপক্ষ। সবচেয়ে বড় বিষয় যুবরা বিশ্বকাপ কাপ জিতে প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষমতা আছে।
আপনার মতামত লিখুন :