ডেস্ক রিপোর্ট : দারিদ্র্য ও বৈষম্যের কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৬ শিশু স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায়নি বলে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো’র মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। চলমান করোনাভাইরাস সংকটের কারণে শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের সংখ্যা আরও বাড়ছে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।দেশ রূপান্তর
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অনেক দেশের দারিদ্র্যপীড়িত সম্প্রদায়গুলোতে বিশেষ করে কন্যা শিশু, প্রতিবন্ধী, অভিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা লেখাপড়ার তেমন কোনো সুযোগই নেই।
ইউনেসকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “মূলত দারিদ্র্যের কারণে ২০১৮ সালে ২৫০ মিলিয়ন (২৫ কোটি ৮০ লাখ) শিশু ও তরুণ শিক্ষা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হয়েছে।”
শিক্ষা থেকে বঞ্চিত এই সংখ্যাটা বিশ্বজুড়ে স্কুলগামী শিশুদের ১৭ শতাংশ এবং এদের অধিকাংশই দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকার।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এই সংকট আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মহামারির ঠেকাতে লকডাউনে স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৯০ শতাংশ বেশি শিক্ষার্থীর ওপর প্রভাব পড়েছে বলে ইউনেসকোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
তাতে বলা হয়েছে, চলমান সংকটে কিছু পরিবারের শিশুরা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাসায় থেকে স্কুলের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারলেও লাখ লাখ শিশু এসব সুযোগ-সুবিধার পুরোপুরি বাইরে।
এ ব্যাপারে ইউনেসকোর মহাপরিচালক আন্দ্রে আসুলেই প্রতিবেদনের ভূমিকাতে লিখেছেন, “ইবোলার মতো অতীত শিক্ষাগুলো দেখিয়েছে যে, স্বাস্থ্য সংকট বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে, অতি দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের ওপর। তাদের অনেকেই আর কখনো স্কুলেই ফিরতে পারে না।”