শরীফ শাওন : [২] বিজিএমইএ বলছে, ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারীদের কাছে ইতোমধ্যেই তাদের দেওয়া প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের অর্ডার প্রত্যাহার করেছে। সংগঠনের সভাপতি রুবানা হক বলেন, গত মাসে ২৫ হাজারেরও বেশি শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে। তার আশঙ্কা, বিদেশিদের অর্ডার না পেলে আগামী ছয় মাসে বেকার শ্রমিকের সংখ্যা পাঁচ লাখে পৌঁছাতে পারে।
[৪] এদিকে, ব্রিটিশ ব্রান্ডগুলোর মধ্যে এইচঅ্যান্ডএম জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত সব শ্রমিককে আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। জায়ান্ট গ্যাপ দাবি করে, বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও বৈঠক করেছি। মাতালান জানায়, ইতোমধ্যেই ট্রানজিটে থাকা অর্ডারগুলোর প্রতি সম্মান জানাচ্ছি।
[৫] ওয়ার্কার্স রাইটস কনসোর্টিয়ামের অনলাইন ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কারখানা চালু হলেও অর্ডারের পরিমাণ ৮০ শতাংশ কম। ব্রিটিশ খুচরা ব্র্যান্ডগুলো তাদের সব অর্ডারের জন্য বিদেশি সরবরাহকারীদের পুরো অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এর মধ্যে রয়েছে, আর্কাডিয়া, প্রাইমার্ক ও এডিনবার্গ উলেন মিল।
[৬] ক্যাম্পেইনার মেগ লুইস বলেন, লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকার বিনিময়ে ফ্যাশন হাউজগুলো মুনাফা নিশ্চিত করেছেন। সংকট সময়ে তাদের এমন আচরণে জবাবদিহিতা করতে হয়নি। এছাড়াও পাশ্চাত্যের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর এই ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার সংগঠনগুলো। দ্য গার্ডিয়ান। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব