আরিফুল ইসলাম, সরাইল : [২] জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমানের ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় আহত আওয়ামী লীগ নেতাকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
[৩] শনিবার (২০ জুন) বিকেলে সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউপির ভুইশ্বর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
[৪] ভুইশ্বর এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপ করলে তারা জানান, জায়গা-জমি ও খাস পুকুর দখল-বেদখল নিয়ে তারা এক গোষ্ঠীর নিজেদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
[৫] তারা জানান, ভুইশ্বর এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে একই এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে লিয়াকত আলী ও সাবেক মেম্বার নাসির উদ্দিনের ছেলেদের জায়গা-জমির মালিকানা ও দখল নিয়ে বহুদিন ধরে বিরোধ চলছে। এসব জমি সংক্রান্ত বিরোধে তাদের মধ্যে দেওয়ানী ও ফৌজদারি একাধিক মামলাও চলছে। সর্বশেষ ভুইশ্বর এলাকায় একটি খাস পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে তাদের মধ্যে ফের বিরোধ বাড়ে এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
[৬] স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, গ্রামের ওই সরকারি খাস পুকুর দখলে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেছুর রহমান, সাবেক মেম্বার নাসিরউদ্দিনের ছেলেরা ও নাসিরউদ্দিনের চাচাত ভাই লিয়াকত আলী মৎস্য চাষ করছেন। এছাড়াও ভুইশ্বর বাজার এলাকায় একটি বিতর্কিত জমি কয়েকবছর আগে তারাই দখলে নিয়ে নানাভাবে দলিল সম্পাদনা করেছে। এখন সেই খাস পুকুর ও বাজার এলাকার জমি দখল ও বেদখল নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুদিন পর পর বিরোধের সৃষ্টি হয়।
[৭] বিষয়টি নিয়ে দুইদিন আগে তাদের মধ্যে সালিসি বসার কথা ছিল। অজানা কারণে সেই সালিশ হয়নি। এ নিয়ে পরে তারা দু'দলে বিভক্ত হলে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। শনিবার বিকেলে মোখলেছুর রহমান ভুইশ্বর বাজার এলাকায় আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি পেটান তাকে। এসময়ে এই আওয়ামী লীগ নেতার পড়নের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করার পর তাকে মাথায় আঘাত করা হয়। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এই আইনজীবী। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আহত আওয়ামী লীগ নেতার স্বজনা প্রতিপক্ষের (হামলাকারী) লোকদের দেখে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার সকালে এ নিয়ে দু'দলের মধ্যে শক্ত বিরোধের আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। সম্পাদনা : হ্যাপি