মিনহাজুল আবেদীন : [২] দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকেই অনেকে নানা ধরনের ওষুধের পাশাপাশি অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিমিটার, নেবুলাইজার এমনকি ভেন্টিলেটরের যন্ত্রপাতি কিনে মজুত করতে শুরু করেছেন। যায়যায়দিন
[৩] প্রয়োজনের সময়ে ওষুধটি ফার্মেসিতে না-ও পেতে পারেন কিংবা হাসপাতালে সময়মতো অক্সিজেন সেবা পাবেন কি না- এমন সংশয় থেকেই এই পণ্যগুলো কিনে রাখার কথা জানান সাধারণ মানুষ।
[৪] ঢাকার বাসিন্দা তাজনিন নাহার আগে থেকেই তার আশপাশের ফার্মেসিগুলো থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ সেইসঙ্গে অ্যান্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কিনে মজুত করে রেখেছেন।
[৫] তিনি বলেন, বাড়িতেই যেন প্রয়োজনীয় ওষুধ খেয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন, সেই জন্য এ প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি বলেন, 'হাসপাতালে বড় বড় লিংক আছে, এমন মানুষজনও বেড পাচ্ছে না। এখন বাড়িতেই যেহেতু চিকিৎসা নিতে হবে, তাই আগেই কিছু ওষুধ কিনে রেখেছি। যেন ওষুধ নিয়ে অন্তত চিন্তা করতে না হয়।
[৬] ওষুধটির চাহিদা হঠাৎ এতোটাই বেড়ে গেছে, ঢাকার অনেক ফার্মেসি মূল কোম্পানির কাছে ওষুধ অর্ডার করেও পাচ্ছে না।
[৭] সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু প্রেসক্রিপশন দেখেই ওষুধ কেনা শুরু করেছেন। কেউ কেউ আবার হোমিওপ্যাথ ওষুধের দিকেও ঝুঁকছেন।
[৮] এদিকে যেসব প্রতিষ্ঠান অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করে থাকে, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর তাদের বিক্রিও এক লাফে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
[৯] এমন অবস্থায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। যেন রোগীর সংখ্যা সীমিত থাকে এবং সীমিত সংখ্যক রোগীর যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়।