পাবনা প্রতিনিধি : [২] কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার প্রায় পাঁচ হাজার খামারি ও চাষি এবার কোরবানির হাটের ওপর ভরসা করতে পারছেন না। ফলে এখন থেকেই অনেক যত্ন ও ধারদেনায় বড় করা গরুগুলোকে বিক্রির চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু অন্যান্য বছরের মতো এবার বাড়ি বাড়ি ঘুরে গরু কেনায় আগ্রহী ব্যাপারীদের দেখা নেই। এ ছাড়া ক্রেতার অভাবে হাটে নিয়েও গরু বিক্রি করা যাচ্ছে না।
[৩] উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও খামারিদের সূত্রে জানা যায়, বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা দেশের অন্যতম গরু লালন-পালনকারী উপজেলা বলে পরিচিত। দুই উপজেলার প্রায় ৫ হাজার খামারে এবার ২০ হাজারের বেশি গরু কোরবানির হাটকে সামনে রেখে বড় করে তোলা হয়েছে। প্রতিবছর কোরবানির হাট শুরুর মাস দেড়েক আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকার গরুর ব্যাপারীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে গরু কেনা শুরু করেন। এ ছাড়া দুই উপজেলার পশুর হাটগুলো থেকেও ব্যাপারীরা গরু কিনে থাকেন।
[৪] গরুর খামারিরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার গরু কেনায় আগ্রহী কোনো ব্যাপারীর দেখা নেই। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গরু পালনকারীরা। তাদের আশঙ্কা এবারের কোরবানির হাটে ক্রেতার অভাবে কম দামে গরু বিক্রি করতে হতে পারে। তাই কোরবানির হাট শুরু হতে মাসখানেক দেরি থাকলেও গরু পালনকারীরা এখনই তাদের গরু বিক্রির চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
[৫] খামারিরা বলছেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গরু কিনেছেন। খাবার কিনতে হয়েছে ধারদেনা করে। এ অবস্থায় গরুর দাম না পেলে বিপদে পড়তে হবে। অন্য বছর এই সময়ে বাড়ি থেকেই গরু বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু এবার হাটে এনেও বিক্রি করা যাচ্ছে না। সামনের কোরবানির হাটে গরুর দাম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
[৬] খামারিরা জানান, অন্যান্য বছরে গরুর ব্যাপারীরা এত দিনে ঢাকার কোরবানির হাটকে সামনে রেখে গরু পালনকারীদের কাছ থেকে গরু কেনা শুরু করে দেন। কিন্তু এবার বেশির ভাগ ব্যাপারী ভয়ে গরু কিনছেন না। করোনার কারণে হাটে গরুর দাম কেমন হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণেই ব্যাপারীরা গরু কিনছেন না।