এস এম নূর মোহাম্মদ: [২] সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাউছার এ নোটিশ পাঠান। ৪৮ ঘণ্টার সময় দেয়া হয়েছে নোটিশে।
[৩] জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এবং বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লস অ্যাঞ্জেলসের সাবেক কনসাল জেনারেল প্রিয়তোষ সাহা বরাবর ইমেইলে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
[৪] নোটিশে বলা হয়েছে যেহেতু ভবন দুটি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সেহেতু দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী উক্ত অভিযোগের যথাযথ অনুসন্ধান, তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কেননা বিষয়টির সাথে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির প্রশ্ন জড়িত।
[৫] এতে বলা হয়, সকল অভিযোগের যথাযথ তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা সেটা জানার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। এত বড় একটি দুর্নীতির অভিযোগে কোন ধরনের দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে দুর্নীতিবাজরা অনুপ্রাণিত হবে।
[৬] নোটিশে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে কনস্যুলেট অফিস স্থাপনের জন্য গত বছর জুন মাসে একটি বাড়ি কেনা হয় ৮৩ লাখ মার্কিন ডলারে। যা বাজার মূল্যের চেয়ে ২৩ গুণ বেশি। অন্যদিকে কনস্যুলেট অফিসের কনসালের বাসভবনের জন্য আরেকটি বাড়ি কেনা হয়েছে ৩২ লাখ মার্কিন ডলারে। এর বাজার মূল্য ২০ লাখ ডলার।
[৭] এছাড়া গত বছর সেপ্টেম্বরে লস অ্যাঞ্জেলসের কনসাল জেনারেল প্রিয়তোষ সাহাকে ঢাকায় নিয়ে এসে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে এ দুর্নীতির ঘটনার তদন্ত বা কোন আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।