শিমুল মাহমুদ : [২] গণস্বাস্থ্যের কিট প্রকল্প কোঅর্ডিনেটর ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার বলেন, আমাদের অ্যান্টিবডি কিটের কাজ করোনা শনাক্ত করা নয়। এটা হচ্ছে অ্যান্টিবডি কিট।
[৩] তিনি বলেন, অ্যান্টিবডি সাধারণত উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৬/৭ দিন পর থেকে দেখা দিতে শুরু করে। প্রথমত উপসর্গযুক্ত কোনো ব্যক্তির যদি অ্যান্টিবডি টেস্টের ফল পজিটিভ আসে, তাহলে তার অর্থ হবে অতি সম্প্রতি তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং তার শরীরে করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি শুরু হয়েছে।
[৪] দ্বিতীয়ত, উপসর্গযুক্ত কোনো ব্যক্তির টেস্টে নেগেটিভ আসার অর্থ হবে, ওই ব্যক্তি হয়তোবা অতি সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন এবং করোনোর অন্য শনাক্তকারী কিট আরটি পিসিআর (রিয়েল টাইম রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ পলিমারিজ চেইন রিঅ্যাকশন) অথবা অ্যান্টিজেন টেস্ট করাবেন। সেই টেস্টে পজিটিভ এলে তিনি এক সপ্তাহ পরে আবার অ্যান্টিবডি টেস্ট করাবেন। তখন তিনি দেখবেন, তার দেহে করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি না।
[৫] তৃতীয়ত, যদি কোনো ব্যক্তির করোনা উপসর্গ না থাকে, তিনি যদি অ্যান্টিবডি টেস্ট করেন, সে ক্ষেত্রে তার টেস্ট পজিটিভ হওয়ার অর্থ হবে, সেই ব্যক্তির শরীরে করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা রয়েছে। এবং তিনি কিছুদিন আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন।
[৬] চতুর্থত, উপসর্গ না থাকা কারও টেস্টের ফল নেগেটিভ আসার অর্থ হবে, তিনি আগে আক্রান্ত হননি। তবে ভবিষ্যতে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ রয়ে গেছে।
[৭] ডা. মুহিব বলেন, এখনও বিএসএমএমইউ থেকে কোনও রিপোর্ট পাইনি। তাদের রিপোর্ট পেলে আমরা মতামত জানাবো। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব