মহসীন কবির: [২] চট্টগ্রামে হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। কোভিড আক্রান্ত রোগী ভর্তি না করার অভিযোগে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে আইসিইউ সেবাও বন্ধ রেখেছে বেশিরভাগ হাসপাতাল। ডিবিসি টিভি
[৩] মঙ্গলবার আইসিইউ না পেয়ে গাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম ছগীর, বিএনপির সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন ও অন্তঃসত্বা মুক্তার।
[৪] বুধবার রাতে ন্যাশনাল হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেয়া হলে পথেই মৃতু হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের চৌধুরীর বাবা জসিমউদ্দিনের। অথচ মঙ্গলবার ২০টি বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ৫৮৮টি শয্যার মধ্যে ৮২৫টি খালি ছিল। নগরীর ৯০টি বেসরকারি হাসপাতালে ১১০টি আইসিইউ শয্যা থাকলেও পরিদর্শনে গিয়ে নানা অজুহাতে বেশিরভাগ আইসিইউ সেবা বন্ধ রাখার চিত্র পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
[৫] হাসপাতালগুলোর নৈরাজ্য বন্ধে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শ বিশিষ্টজনদের। চট্টগ্রাম মহানগর টিআইবি-সনাক এর সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার কবীর চৌধুরী বলেন, “কোভিড-নন কোভিড কাউকে সেবা দিচ্ছে না। তাদের যে আইসিইউগুলো আছে সেগুলো লক করে রেখেছে। তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য আমরা সাধারণ জনগনের পক্ষ থেকে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই।"
[৬] করোনা উপসর্গ আছে এমন রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে না অধিকাংশ হাসপাতাল। তবে হাসপাতাল থেকে রোগী ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি বিএমএর।
[৭] রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন "আমরা বলতে পারবো না যে, আমরা পুরোপুরি সফল হতে পেরেছি। তবে আগের চেয়ে এখন অভিযোগ অনেকটাই কম। মোবাইল টিম কাজ করবে। সেখনে জরিমানাসহ সকল প্রকার শাস্তি দিতে বাধ্য হবে সরকার।"
[৮] সরকারি নির্দেশনার পর গুটি কয়েক বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের ভর্তি করালেও করোনাকে পুঁজি করে অতিরিক্ত বিল নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
আপনার মতামত লিখুন :