ডেস্ক রিপোর্ট : [২] যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে কোন আইনে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে তা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে সরকারের প্রতি। আজ শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সুরক্ষা), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভাগের সচিব এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে মেইলের মাধ্যমে নোটিশটি পাঠানো হয়।
[৩] সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সালের পক্ষে ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা নোটিশটি পাঠান। যেখানে একই সময়ে বিদেশ থেকে আসা অন্যান্য যাত্রী এবং পরবর্তীতে চীন থেকে আসা ডাক্তারদের দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে কিসের ভিত্তিতে একজন করোনা বিজয়ী যোদ্ধাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে, জানতে চাওয়া হয়েছে।
[৪] নোটিশ পাওয়ার দুইদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সচিবদের কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়েছে। অন্যথায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে নোটিশে। ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
[৫] নোটিশে যা বলা হয়েছে-
[৫.১] যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের সুপরিচিত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার গত ৭ জুন বিকেলে দেশে আসেন। একইদিন একই সময়ে কাতার এয়ারওয়েজের দ্বিতীয় বিশেষ বিমান দেশটির নিউইয়র্ক থেকে ১১২ বাংলাদেশিকে আনা হয়। যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রী, উচ্চ ডিগ্রি অর্জনে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী, দর্শনার্থী, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী রয়েছে। এর আগেও গত ১৫মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৪২ জন বাংলাদেশিকে দেশে আনা হয়। এ ছাড়া গত ৮ জুন করোনা মোকাবেলায় চীন থেকে চীনের বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় এসেছে। তাদের কাউকেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়নি। সেখানে শুধুমাত্র ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যায়। তাকে ঢাকার ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনে নেওয়ার ক্ষেত্রে সকলকে সমানভাবে বিবেচনা করা হয়নি, যা বাংলাদেশের সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
[৫.২] নোটিশে আরও বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এটুআই, ইনোভশন ল্যাব এবং ই-জেনারেশনের একটি যৌথভাবে ‘সহযোদ্ধা’ নামক একটি ভার্চুয়াল প্লাজমা নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে (www.shohojoddha.com)। যারা ইতোমধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তাদের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে চাহিদা মোতাবেক সেটি সরবরাহে স্বাস্থ্য খাতকে সহায়তা করতেই এই প্ল্যাটফর্ম করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় বাংলাদেশে প্লাজমা থেরাপি কার্যকর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্লাজমা নেটওয়ার্ক সহযোদ্ধা আগ্রহী প্লাজমা দাতা এবং গ্রহীতার মধ্যে সেতুবন্ধন ঘটিয়ে করোনা রোগীকে সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। রোগীর পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের প্লাজমা খোঁজা হচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ সরকার করোনা যোদ্ধা ডা. ফেরদৌস খন্দকারদের মত মানুষদের খুঁজছে এবং তিনি শুধুমাত্র প্লাজমা হিরো হিসেবেই নন একজন প্রথিতযশা ডাক্তার হিসেবে দেশের অনেক মানুষের উপকারে আসতে পারেন’।আমাদের সময়, প্রিয়ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :