ডেস্ক রিপোর্ট : [২] আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ আটকে দিয়েছিল বর্ষা (দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমীবায়ু)। ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে টেকনাফ উপকূলের দিকে যা অগ্রসর হচ্ছে।
[৩] আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ বর্ষা মৌসুম দেশের উপকূলে চলে আসবে। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে জুনের শেষভাগে।
[৪] এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় রোববার (৭ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
[৫] এদিকে বৃষ্টির মধ্যেই রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস। রোববার খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোরের অঞ্চলসমূহে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
[৬] সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০ থেকে ১৫ কিমি, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
[৭] আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থা আগামী সোমবার (৮ জুন) পর্যন্ত পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। আর বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমীবায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
[৮] আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, রোববার বৃষ্টিপাত কমবে। এরপর বর্ষা আসবে। সোমবারের পর ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাত বাড়বে।বাংলানিউজ, প্রিয়ডটকম