শাহীন খন্দকার :[২] জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জি এস আই) খুঁজে পেয়েছে জামশেদপুরের কাছে মাটির তলায় প্রায় ২৫০ কিলোগ্রাম সোনার ভান্ডার। ঝাড়খান্ডের সিংভূম জেলার ভিতারদাড়ি গ্রামে এই সোনার ভান্ডারে সন্ধান পেয়েছে বলে জানা গেছে। জামশেদপুর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামটি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি প্রকাশ হয়েছে।
[৩] এই বিষয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট ঝাড়খন্ড সরকারের কাছে ৩জুন জমা করা হয়েছে। জি এস আই সূত্রে জানা গেছে, এরফলে পথ প্রস্তুত করা হচ্ছে সোনার খনির জন্য নিলাম ডাকার, যা খুব দ্রুতই করা হবে। এমন খবর অবশ্যই ভারতের অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করার পক্ষে খুবই শুভ যখন গোটা দেশ করোনা অতি মহামারীর সংকটে জর্জরিত।
[৪] করোনাকে আটকাতে দেশজুড়ে লক ডাউন ঘোষণা করায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে বলতে গেলে সমস্ত রকম অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। এই যে ২৫০ কিলোগ্রাম সোনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে তার জন্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে ড্রিল করে ৬০০ মিটার গভীর ৬টি গর্ত করা হয়েছে। সেখানে কতটা সম্পদ রয়েছে তা বুঝে নিতে ৭০৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
[৫] জিএসআই মনে করছে, ভিতারদাড়ি অঞ্চলে ১৫০ মিটার মাটির তলায় থেকেই সোনা মিলবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এক্ষেত্রে জি-থ্রি স্টেজ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এই সম্পদ সম্পর্কে রিপোর্ট জি এস আই এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জনার্দন প্রসাদ ঝাড়খন্ডের খনি সচিবের কাছে জমা দিয়েছেন এই প্রজেক্ট ডিরেক্টরদের উপস্থিতিতে।
[৬] ২০১৩-১৪ সাল থেকেই ভিতার দাড়িতে এই বিষয়ে ম্যাপিং এবং স্যাম্পলিং এর কাজ চালানো হচ্ছিল । ২০১৭-১৮ থেকে শুরু হয়েছিল ড্রিলিং করার কাজ। ২০০৯-১০ সাল থেকে ওইখানে সোনার জন্য জি-ফোর স্টেজ ইনভেস্টিগেশন শুরু করা হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :