শাহীন খন্দকার : [২] কয়েক মাস নয়, বরং বছর পাঁচেক লেগে যেতে পারে করোনার প্রকোপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে, এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হু এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। এর আগে বিজ্ঞানীদের একাংশ দাবি করেন, করোনা কতদিন স্থায়ী হবে, নির্দিষ্ট করে কোনও সময় বলা যায় না। সবটাই নির্ভর করছে কত তাড়াতাড়ি সংক্রমণ আটকানো যায় ও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়, তার উপর।
[৩] বর্তমানে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৩ লক্ষ। ৩ লক্ষের কাছাকাছি করোনা-মৃত্যুর সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই হু-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথনের র পূর্বাভাস, করোনা-নিয়ন্ত্রণ করতে করতে এখনও ৪-৫ বছর! তিনি বলেন, সবটাই নির্ভর করছে ভাইরাস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হচ্ছে কি না, কনটেনমেন্ট ঠিকভাবে করা যাচ্ছে কি না, এবং সর্বোপরি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা গেল কিনা।
[৪] প্রতিষেধক আবিষ্কারের উপর জোর দিয়েও তিনি বলেন, যদিও তার সাফল্য ব্যাপারটি নির্ভর করে আছে অনেক যদি, কিন্তুর উপর। তার উপর প্রতিষেধক সকলের কাছে পৌঁছানের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর আগে জেনেভায় হু-র ত্রৈ-সাপ্তাহিক বৈঠকে, হেলথ এমার্জেন্সি প্রোগ্রাম হেড মাইক রায়ান জানিয়ে দেন, কেউ বলতে পারবে না, কবে যাবে করোনা।
[৫] সেই সঙ্গে তিনি বলেন, লকডাউন উঠে গেলে আরও বিপদের দিকে এগিয়ে যেতে পারে বিশ্ব। তাই উপযুক্ত সুরক্ষা নিয়ে ধীরে ধীরে লকডাউন তোলার পরামর্শ দেন রায়ান। তবে মর্গে দেহ গোনার জন্য নিশ্চয় লকডাউন তোলার কথা ভাবছি না আমরা, মন্তব্য মাইক রায়ানের। এই প্রথম একটা ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢুকেছে, এখন তাকে কীভাবে তাড়ানো যায় বা প্রতিহত করা যায়, তা বলা এখনই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তথ্য প্রতিদিন সংবাদ ২৪