শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০৫ জুন, ২০২০, ০৩:৫১ রাত
আপডেট : ০৫ জুন, ২০২০, ০৩:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তা, টান দিলেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

ডেস্ক রিপোর্ট : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি রাস্তা পাকাকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম না মেনে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় পাকা করণের চার দিন পরে হাতের টানেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।

এ ছাড়া সড়কের দুইপাশের এজিংয়ে দুই ফুট করে মাটি ভরাট করার কথা থাকলে তাও দেওয়া হচ্ছে না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের হিলড়া থেকে বহনতলী পর্যন্ত এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করণের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। সরকার কনস্ট্রাকশন নামে স্থানীয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত হন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কার্পেটিংয়ের আগে কেরোসিন ও বিটুমিন মিশিয়ে রাস্তার উপর বেড নির্মাণ করার কথা থাকলেও, ঠিকাদার তা সুকৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া রাস্তার ওপর পড়ে থাকা বালু পরিষ্কার না করেই কার্পেটিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও বালুমাটির ওপর কেরোসিন ও বিটুমিন মিশিয়ে রাস্তার ওপর ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া ২৫ মিলি পরত কার্পেটিং করার কথা থাকলেও অধিকাংশ জায়গাতেই তা করা হচ্ছে না।ফলে কার্পেটিং করার চার দিন পরও হাতের টানেই তা উঠে যাচ্ছে। এতে সড়কের স্থায়ীত্ব নিয়ে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন। সড়কের হাড়ভাঙা এলাকাতেই নিম্নমানের কাজ বেশি করা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

হাড়ভাঙা গ্রামের বাসিন্দা কুমুদিনী হাসপাতালের ইলেকট্রিশিয়ান ফেরদৌস আহমেদ, একই গ্রামের বাসিন্দা রুহান আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন রাস্তাটি পাকা হচ্ছে। কিন্ত ঠিকাদার নিয়ম না মেনে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করায় রাস্তাটি কোনো কাজেই আসবে না।

তারা অভিযোগ করে বলেন, কাজের শুরুতে কাঁচা রাস্তায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহারের পর এখন ধোয়ামোছা ছাড়াই কার্পেটিংয়ের কাজ করছেন ঠিকাদার। এ ছাড়া খুবই পাতলা করে কার্পেটিং করায় চার দিন গত হলেও হাতের টানেই কার্পেটিং উঠে আসছে।

এ বিষয়ে সরকার কনস্ট্রাকশনের মালিক জয়ন্ত সরকার নিয়ম না মানা ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে কিছু লোক তার কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।’

মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, ‘রাস্তার ওপর পড়ে থাকা বালু পরিষ্কার করেই কার্পেটিংয়ের করতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো অনিয়ম হলে তাও খতিয়ে দেখা হবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়