সুজিৎ নন্দী : [২] দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ইতোমধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার মাধ্যমে অনেকটাই ‘হার্ডলাইন’ অবস্থান নিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে আরো কিছু পরিবর্তন ও চাকরিচ্যুত করা হবে বলে একাধিক সূত্র জানায়।
[৩] ডিএসসিসির বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্বরত একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, যারা এরই মধ্যে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন এবং কাজে অবহেলা করেছেন, এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। অনেকটা আতঙ্ক নিয়েই কাজ করছেন তাদের কেউ কেউ।
[৪] তবে শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় বলা সম্ভব নয়। অনিয়ম কিংবা গাফলতি পেলে কেউ ছাড় পাবে না। আরো জানান, এতোদিন সংস্থার কর্মকর্তারা শুধু দেখে এসেছিলেন যে, অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়। তারপর সে কমিটি রিপোর্ট দেয়। আর রিপোর্ট দিতে দিতে তারা আবার পারও পেয়ে যান। অথবা সাময়িক বরখাস্ত হন।
[৫] নতুন মেয়র দায়িত্ব নিয়ে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশনে' গিয়ে চাকরিচ্যুত করেছেন তিনজনকে। প্রায় ৫জন দপ্তর বদল হয়েছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে যারা অনিয়মকারি ও দুর্নীতিবাজ তাদের মধ্যে আতঙ্ক ভর করবে এটাই তো স্বাভাবিক। ‘মেয়র তাপসের অ্যাকশন’ হিসেবে দেখছেন নগরবাসী। পাশাপাশি এ উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।
[৬] ডিএসসিসির সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত মেগা প্রকল্পের মধ্যে অঞ্চল-১ ও ৩ অঞ্চলে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে কাজ করেছেন তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে নগর ভবনে কর্মরত। এদের একজন পরিবেশ,জলবায়ু ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেল চলতি দায়িত্ব ও পিডি, এমপি প্রজেক্ট। অপরজন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বে আছেন।
[৭] অঞ্চল-৩ রাস্তা, ব্রিজ ও ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের কাজে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর যোগসাজগে পুরো কাজ না করে বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি ‘অতিবৃষ্টি’ প্রকল্পসহ বড় রকম অনিয়মেয়র অভিযোগ আছে। তখন দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাকের জানান, তিনি কিছু জানেন না এবং মন্তব্য করবেন না বলে জানান।