মো. গিয়াসউদ্দিন : চট্টগ্রামের পটিয়ায় মুর্শিদাবেগম (২০) এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হলে অভিযুক্তরা এলাকায় জ্বিনে মেরে ফেলছে বলে এলাকায় প্রচার চালায়। গত ২৫ এপ্রিল গোপনে দাফন করা হয়। এনিয়ে রহস্য দেখা দিলে অবশেষে আদালতের নির্দশে ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতে দাফনের এক মাস ১১দিন পর বুধবার সকালে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়।
[৩] জানা গেছে, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মফজল, মফজলের স্ত্রী শাহীনা আক্তারকে আটক করেন পটিয়া থানা পুলিশ। গত ২৫ এপ্রিল রাতে মুর্শিদাকে তার স্বামী রফিক ও আমার স্বামী মফজলসহ তিনজন মিলে গলা টিপে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। অন্যদিকে মৃত মুর্শিদা বেগমের বড় বোন খুরশিদা বলেন, রফিকের অন্য একটা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো। আমার বোনের কাছে থাকা দুই ভরি স্বর্ণ নিয়ে ওই মেয়ের সঙ্গে পালাতে চেয়েছিল সে। বিষয়টি জানাজানি হলে মুর্শিদাকে হত্যা করে রফিক। মুর্শিদার গত ৫ মে সন্তান জন্মদিনের তারিখ ছিল। এর আগেই আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান। গৃহবধুর লাশ কবর থেকে উত্তোলনের সময় ছিলেন পটিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)
[৪] ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ইনামূল হাসান, পটিয়া থানা পুলিশ অফিসার মাকছুদুর রহমানসহ প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতেই লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়। এসময় উপস্থিত পটিয়া থানার এসআই মাকছুদুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে ম্যাসিট্রেটের উপস্থিতিতে এবং থানা পুলিশ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে লাশ কবর থেকে তোলার পর মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :