লাইজুল ইসলাম : [৩] কোভিড-১৯ রোগির জন্য এখনো নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ বের করতে পারেনি কেউ। বিজ্ঞানিরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই রোগের ওষুধ বা ভ্যাকসিন বের করতে। তবে কিছু পুরোনো ওষুধে সফলতা আসলেও তা বলার মত নয়। প্লাজমা থেরাপীতেও সফলতা এসেছে। তবে সেটাও ফলাও করে বলার মত না।
[৪] বাংলাদেশেও বেশ কিছুদিন ধরে প্লাজমা থেরাপী শুরু হয়েছে। এতে বেশ কিছু সফলতাও পাওয়া গেছে। সফলতার পাশাপাশি সফল না হওয়ারও ঘটনা আছে। প্লাজমা থেরাপী নেয়ার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ও রাজধানীতেও মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে আসলে কি প্লাজমা থেরাপী নেয়ার পর রোগিরা সঙ্কা মুক্ত।
[৫] বাংলাদেশে প্লাজমা থেরাপী দেয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, প্লাজমা নিয়ে নিলেই যে একজন রোগি পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত তা বলা যাবে না। একজন ক্রিটিক্যাল রোগিকে প্লাজমা থেরাপী দিয়ে সুফল পাওয়া কঠিন।
[৬] অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, প্লাজমা দেয়ার আগে ক্রিটিক্যাল রোগির বেশ কিছু ওরগান অচল হয়ে পরে। করোনার ভাইরাস রোগির সব কিছু শেষ করে দিয়ে ক্রিটিক্যাল রোগিতে পরিণত করে। তাই রোগির ক্রিটিক্যাল অবস্থায় যাওয়ার আগেই প্লাজমা থেরাপী দিতে হবে।
[৭] সোহরাওয়ার্দী হাসাপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, কোভিড-১৯ রোগিকে প্লাজমা দিলে তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠবে কে বলেছে? সুস্থ্য নাও হতে পারে। যে প্লাজমা দিচ্ছে তাতে কতটুকু এন্টিবডি আছে তাও তো জানতে হবে। বা সেই এন্টি বডি কতটুকু কাজে লাগছে তাও দেখতে হবে। প্লাজমা নেয়ার আগে অবাশ্যই এন্টিবডি কতটুকু আছে তা দেখে নেয়া প্রোয়জন।
[৮] ডা. উত্তম বড়ুয়া বলেন, একজন রোগির জন্য প্লাজমা ভালো কাজ করে। শরিরে প্রবেশের পর এন্টিবডিকে কাজ করার সুযোগতো দিতে হবে। এন্টি বডি যদি কোভিড রোগের ওষুধই হোতো, তবে এতদিনে বিশে^ বড় ধরনের দৌড়ঝাপ শুরু হতো।