লিহান লিমা: [২] বিক্ষোভকারীরা সম্মান ও সমর্থনের দাবী রাখেন, বললেন ওবামা। [৩] ডেমোক্রেট দলের হয়ে ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনায়ন প্রত্যাশী বাইডেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিন্দা জানিয়ে এই মন্তব্য করেছেন।
[৪] বাইডেন বলেন, ‘তিনি শুধু একটি ছবি উঠানোর জন্য শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছেন। এর আগে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের পাশ্ববর্তী চার্চ সেন্ট জর্জ চ্যাপেল থেকে বিক্ষোভকারীদের বলপূর্বক সরিয়ে স্থানটি পরিদর্শন করেন। চার্চের সামনে বাইবেল হাতে ছবিও তোলেন তিনি। কিন্তু কোনো প্রার্থনা ব্যতীতই প্রস্থান করেন।
[৫] বাইডেন বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের জন্য, আমাদের দেশকে রক্ষার জন্য আমাদের তাকে পরাজিত করতে হবে।’
[৬] এদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টুইটে লিখেছেন, এই বিক্ষোভ দশকধরে চলমান পুলিশি একতরফা ব্যবহার ও ন্যায় বিচারকে রুদ্ধ করার বিরুদ্ধে খাঁটি ও আইনী হতাশারই প্রকাশ। আমাদের উচিত সহিংসতা সৃষ্টি করা কিছু ব্যক্তির নিন্দা জানানো, কিন্তু পুরো বিক্ষোভকারীদের নয় যারা কি না আমাদের সম্মান ও সমর্থনের দাবী রাখেন।
[৭] এদিকে ট্রাম্প নিজেকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ঘোষণা করে বলেছেন, আমি আইন-শৃঙ্খলা অনুযায়ী আপনাদের প্রেসিডেন্ট। আমার প্রথম দায়িত্ব দেশ ও জনগণকে রক্ষা করা। আর সহিংস বিক্ষোভ থামাতে আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবো। ট্রাম্প হাজার হাজার সশস্ত্র সৈন্য মোতায়েন করার হুমকি দেন। ট্রাম্প দাবী করেন, যারা সহিংসতা করেছে, আগুন ধরিয়েছে, লুটপাট করেছে, ভাঙ্গচুর করেছে তাদেরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে।
[৮] গত ২৫ মে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড প্রাণ হারানোর পর যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ দানা বাঁধে। প্রায় ৪ হাজার বিক্ষোভকারীকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪০টি অঙ্গরাজ্যে কারফিউ ও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :