আসাদুজ্জামান বাবুল/মাহাবুব সুলতান,গোপালগঞ্জ: [২] লিবিয়ায় মানব পাচারকারীদের গুলিতে নিহত গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের কলেজ ছাত্র সুজন মৃধার বাবা বাবুল মৃধা বাদী হয়ে ৩ জন মানব পাচারকারীকে আসামী করে মুকসুদপুর থানায় মামলা করেছেন।
[৩] পহেলা জুন সোমবার রাতে মুকসুদপুর থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামীরা হলেন, মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের যাত্রাবাড়ী গ্রামের রব মোড়ল, জুলহাস সরদার ও লিয়াকত শেখ।
[৪] মামলার বরাত দিয়ে মুকসুদপুর থানার ওসি মীর্জা আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,পরিবারের অভাব মেটাতে এইচএসসির কলেজ ছাত্র সুজন মৃধা, গত ২৭ জানুয়ারী মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের যাত্রাবাড়ী গ্রামের রব মোড়লের মাধ্যমে লিবিয়া যান। এ সময় সুজনের বাবা বাবুল মৃধা,দালালদের হাতে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তুলে দেন। ৩৫ হাজার টাকা মাসিক বেতন দেয়ার কথা বলে দালালরা সুজনকে লিবিয়া পাঠায়।কিন্ত,লিবিয়ায় যাওয়ার পর দালাল চক্র সুজনকে কোন কাজ দেয়নি । বরং.সুজনকে মেরে ফেলার ১৭ দিন আগে দালালচক্র সুজনকে সে দেশের মানব পাচারকারী চক্রের হাতে তুলে দেয়।
[৫] গত ২৬ মে মানব পাচারকারীরা সুজনের কাছে আরো ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে পরিবারের কাছে ভয়েস কল পাঠাতে চাপ সৃষ্টি করে। অপারাগত প্রকাশ করলে মানব পাচারকারীরা সুজনকে মারপিট করে। এরপর সুজনকে তার পরিবারের কাছে টাকা চেয়ে ভয়েস কল পাঠায়। এ সময় তারা সুজনকে মারপিট করার ভয়েসও পাঠান। ছেলের উপর অমানষিক নির্যাতন সইতে না পেরে সুজনের বাবা তাদের কাছে ১ জুন পর্যন্ত সময় চান। কিন্তু তার আগেই ওরা সুজনকে গুলি করে হত্যা করে।
[৬] স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে সুদে টাকা এনে ও ফসলী জমি বিক্রি করে সুজনকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছিলো তার বাবা এমন কথা উল্লেখ করে থানার ওসি মীর্জা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সুজনের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।