শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০২০, ০২:৪৫ রাত
আপডেট : ০১ জুন, ২০২০, ০২:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এ সময় শিশুর চোখে রোগ

ডা. মো. ছায়েদুল হক :  শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার পাশাপাশি শিশুর চোখের সুস্থতাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিভিন্ন কারণেই শিশুর চোখে সমস্যা হতে পারে। জন্মগত ছানি, কর্নিয়ায় ঘা, চোখে আঘাত, চোখের প্রদাহ ছাড়াও চোখে অ্যালার্জি এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া অন্যতম।

ছানি : জন্মের পর বা কিছুদিন পর এক বা উভয় চোখে সাদা আস্তর দেখা যাওয়া ছানিরোগের লক্ষণ। ডেলিভারির সময় চোখে আঘাতের কারণে, গর্ভকালীন মায়ের রুবেলা জ্বর, নানা ধরনের ওষুধ সেবন এবং বংশগত কারণে শিশুর চোখের ছানি পড়তে পারে। অপারেশনের মাধ্যমে ছানি অপসারণ এবং পরবর্তীকালে সময়মতো কৃত্রিম লেন্স প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা সম্ভব। তবে অপারেশনে বিলম্ব করলে শিশু চিরতরে দৃষ্টি হারাতে পারে।

দৃষ্টিশক্তিজনিত দৃষ্টিস্বল্পতা : ঘন ঘন চোখ নড়াচড়া করা, চোখ বেঁকে যাওয়া, বস্তু অনুসরণ না করতে পারা, ঘন ঘন চোখে হাত দেওয়া, কাছে গিয়ে টেলিভিশন দেখা, মাথাব্যথা করা ইত্যাদি দৃষ্টিস্বল্পতা লক্ষণ। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চশমা ব্যবহারের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

কর্নিয়ার ঘা : অপুষ্টিজনিত কারণে ভিটামিনের অভাবে দুই চোখে ঘা হতে পারে। ডেলিভারির সময় চোখে আঘাত এবং জন্মের পর যে কোনো সময় জীবাণু সংক্রমণে চোখে ঘা হতে পারে। চোখব্যথা, আলোয় খুলতে না পারা, লাল হওয়া, কালোমনিতে সাদা দাগ পড়া এ রোগের লক্ষণ। ডাক্তারের পরামর্শে এ রোগের চিকিৎসা সম্ভব।

চোখে অ্যালার্জি : ঘন ঘন চোখে হাত দেওয়া, চোখ কচলানো, চোখ লাল হওয়া এবং শুষ্ক মৌসুমে এ রোগ বেশি হয়। বছরে ২ থেকে ৩ বার চোখে অ্যালার্জি হতে পারে। ধুলাবালি, ধোঁয়া, খাবার এবং বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থে শরীর ও চোখে অ্যালার্জি হতে পারে।

চোখ দিয়ে পানি পড়া : জন্মগতভাবে চোখের পানি সরে যাওয়ায় নেত্রনালি বন্ধ থাকলে চোখের পানি উপচে পড়ে। এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে বন্ধ নালি আপনাতেই খুলে গেলে চোখের পানি পড়া অনেকাংশে কমে যায়। ডাক্তারের পরামর্শে চোখের কোণে মালিশ এবং চোখে ড্রপ ব্যবহারে এ রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। সাধারণত শিশুরা অনেক কিছু বলে বোঝাতে পারে না। তাই সমস্যাগুলো ঠিকমতো ধরাও যায় না। এসব সমস্যা শেষ পর্যন্ত শিশুর অন্ধত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই শিশুর দৃষ্টি অধিকার রক্ষায় সবার সচেতনতা প্রয়োজন।

লেখক : চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন প্রাক্তন সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল

চেম্বার : আইডিয়াল আই কেয়ার সেন্টার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়