ইয়াসিন আরাফাত : [২] মহামারি কোভিড-১৯ এর বিপর্যয়ের মধ্যেই আমেরিকায় জ্বলছে বিদ্বেষের আগুন। সেই আগুনে নতুন করে ঘি ঢালার কাজ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটারে বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিলেন, ‘লুঠ শুরু হলে, শুট (গুলি) শুরু হবে।’ ট্রাম্পের এই ্টুইটের প্রেক্ষিতেই পাল্টা টুইট করেন মার্কিন গায়িকা টেলর স্যুইফ্ট। হিন্দুস্তান টাইমস, এই সময়, নিউ ইয়র্ক টাইমস
[৩] ট্রাম্পকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি লেখেন,'আপনি প্রেসিডেন্ট হয়েও সাদা চামড়ার আধিপত্যবাদ ও বর্ণবাদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এরপরও কীভাবে আপনি সংহতির হুমকি দিতে পারেন। এই আপনার নৈতিক শ্রেষ্ঠত্ব? কীভাবে আপনি গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন? আপনাকে আমরা ভোট দিয়েই ক্ষমতাচ্যুত করব নভেম্বরে'। টেলর স্যুইফ্টের এই ট্যুইট এখন মেগাহিট।
[৪] সেদিন ট্রাম্পের টুইটের পর মিনেসোটার থানায় আগুন লাগান বিক্ষোভকারীরা। প্রাণ বাচাতে পালান পুলিশকর্মীরা! চলে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুঠপাট। ক্ষোভের এই আগুন ছড়িয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, ইলিনয়, লস অ্যাঞ্জেলিস, শিকাগো, মেমফিস, টেনেসিতেও। সেখানেও পথে নেমেছেন শয়ে শয়ে কৃষ্ণাঙ্গ। এর পরেই ট্রাম্পের ওই বিতর্কিত টুইট লুকিয়ে ফেলে টুইটার।
After stoking the fires of white supremacy and racism your entire presidency, you have the nerve to feign moral superiority before threatening violence? ‘When the looting starts the shooting starts’??? We will vote you out in November. @realdonaldtrump
— Taylor Swift (@taylorswift13) May 29, 2020
[৫] তার জায়গায় লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘প্রতিহিংসায় প্ররোচনা দেয়ার বিধি লঙ্ঘন করেছে এই টুইট।’ এমনকী, প্রেসিডেন্টের টুইট শুক্রবার সকালে নতুন করে পোস্ট করা হয়েছিল হোয়াইট হাউসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। সেখানেও একই বার্তা দিয়েছে টুইটার। বিতর্কিত টুইটটি যাতে বেশি সংখ্যায় মানুষের কাছে পৌঁছতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও নিচ্ছে টুইটার। কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষেত্রে সম্ভবত এমন দৃষ্টান্ত নেই।
[৬] এ দিকে, প্রতিহিংসার খবর সংগ্রহে গেলে গ্রেপ্তার করা হয় সিএনএন-এর এক কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিককে। তাতে মানুষের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। প্রেসিডেন্ট এবং প্রশাসনের এমন আচরণের বিরুদ্ধে সরব প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের ডেমোক্র্যাট প্রতিপক্ষ জো বাইডেন। ট্রাপম প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, যে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারের হাঁটুর চাপে প্রাণ গেল কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির, তিনি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ কাজ করতে গিয়ে কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিক কেন গ্রেপ্তার হলেন, এমন বৈষম্য কেনো। এ দিকে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, ‘বর্ণবিদ্বেষ ২০২০-র আমেরিকায় স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না।