সমীরণ রায়ঃ [২] ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’ নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ এক বিবৃতিতে আরও বলেন, মহামারি করোনা সংকটকালে পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কম যাত্রী নিয়ে বাস-মিনিবাস পরিচালনার জন্য মালিকদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি জনগণের ওপর না চাপিয়ে সরকারি প্রণোদনার আওতাভুক্ত করারও দাবি করেন তিনি।
[৩] তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর মধ্যে সাধারণ মানুষের উপার্জন কমেছে। লাখ লাখ মানুষ কর্ম ও আয়হীন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে চালডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের খড়গও সইতে হচ্ছে জনসাধারণকে। ইতোমধ্যে বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কমানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাসভাড়া বৃদ্ধির যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তা জনসাধারণের ওপর মারাত্মক জুলুম ও অবিচারের সামিল।
[৪] পলাশ মাহমুদ বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাস-মিনিবাস পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবহন মালিকদের ন্যায়সঙ্গত স্বার্থ সুরক্ষার দায়িত্ব সরকারের। পরিবহন মালিকরা যেন ক্ষতির মুখে পড়ে সে জন্য বিকল্প হিসেবে বিষয়টিকে সরকারের প্রণোদনার আওতাভুক্ত করা যেতে পারে। কিন্তু বিকল্প কোনো উপায় না খুঁজে বিআরটিএর ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি সরাসরি জনস্বার্থবিরোধী সুপারিশ করেছে। ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটির ৮০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, এই কমিটি বাসমালিকদের অনৈতিক স্বার্থরক্ষার তল্পিবাহকে পরিণত হয়েছে।
[৫] রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।সম্পাদনা : রাশিদ