কোটালীপাড়া প্রতিনিধি : [২] গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এক করোনা রোগীর আত্বীয়ের বাড়ি লকডাউন করাকে কেন্দ্র করে মিথ্যে মামলার শিকার হয়েছেন এলাকার কিছু সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গ। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ভূতের বাড়ী গ্রামে ।
[৩] উল্লেখ্য পার্শ্ববর্তী শ্রীফল বাড়ী গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লা(৩৮) ঢাকা থেকে করোনা পজিটিভ হয়ে এসে ভূতের বাড়ী গ্রামে তার বোনজামাই জাকিরের বাড়ীতে অবস্থান নেয় । পরবর্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা প্রশাসন আক্রান্ত মহিউদ্দিন কে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে নিয়ে যায় এবং বোনজামাই জাকিরের বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করেন।
[৪] এদিকে জাকিরের বাড়ীর পাশের বাড়ীর ভ্যান চালক আব্দুল হক মীর করোনা আক্রান্ত মহিউদ্দিন রুগির সংস্পর্শে এসেছেন সন্দেহে তার বাড়িও লকডাউন করেছেন উপজেলা প্রশাসন। তবে আব্দুল হক মীর ও তার স্বজনরা ধারনা করে যে তাদের বাড়ি লকডাউন করার পিছনে কিছু ব্যক্তির যোগসাজশ আছে । এ নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে পুরোনো শত্রুতার জের ধরে মীর বাড়িতে ব্যাপক কলহের সৃষ্টি হয়।
[৫] একপর্যায়ে ভ্যানচালক আব্দুল হক মীরের ভাই হেমায়েত মীর বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ।
[৬] আসামিরা হলেন কোটালীপাড়া স্যানিটারী ইনেস্পেক্টর সেলিম মীর, খোকন মীর, রুবেল মীর, মাসুদ মীর ও সাকিব মীর । কোটালীপাড়া স্যানিটারী ইনেস্পেক্টর সেলিম মীর প্রতিবেদক কে বলেন, ভ্যানচালক আব্দুল হক মীর করোনা আক্রান্ত মহিউদ্দিনের সংস্পর্শে এসেছেন সন্দেহ উপজেলা প্রশাসন তাকে লকডাউন দিয়েছে এতে আমাদের কারো হাত নেই কিন্তু তারা মনে করে যে তাদেরকে লকডাউন দিতে আমরা সুপারিশ করেছি যা একেবারেই ভিত্তিহীন। মূলত বাড়ীর পুরোনো শত্রুতার জের ধরেই আমাদের নামে মিথ্যে মামলা করা হয়েছে । আমি একজন সরকারী কর্মকর্তা এমন ভিত্তিহীন অভিযোগে সমাজে আমার মানক্ষুন্ন হয়েছে আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই । সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ