ডেস্ক রিপোর্ট : [২] কাঁচপুরে সাজেদা ফাউন্ডেশনের অস্থায়ী কারোনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা। রোববার সকালে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হবে।
[৩] কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, শনিবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্সে করে সাজেদা হাসপাতালে রওনা হই। শ্বাসকষ্ট বাড়ার পাশাপাশি পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল তার। সেই সময় লুনাকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছিল।
[৪] খোরশেদ জানান, তার স্ত্রীর জ্বর, ঠাণ্ডা, গলা ব্যথাসহ করোনার বেশ কয়েকটি উপসর্গ আছে। প্রবলভাবে না হলেও স্বাভাবিকভাবে তার শ্বাস নেয়ার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রাত পৌনে ১২ টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় লুনাকে। কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আইসিইউর জন্য অনুরোধ করেছি। তারা সকালে দেবে বলেছে। একটি আইসিইউ হলে হয়ত আমার স্ত্রীর শ্বাস নেয়াটা স্বাভাবিকভাবে চলতো।
[৫] এ ঘটনার পর খোরশেদের ৩ সন্তান ভেঙে পড়ছে। দেশবাসীর কাছে তাদের জন্য দোয়া চেয়েছেন মানবতার এই ফেরিওয়ালা।
[৬] সম্প্রতি করোনা পজিটিভি শনাক্ত হন কাউন্সিলর খোরশেদের স্ত্রী লুনা । এরপর থেকে তিনি নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন।
[৭] করোনা ভাইরাস বা এর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া রোগীদের দাফনের কাজ করছিলেন খোরশেদ। এখন পর্যন্ত মোট ৬১টি মরদেহ তিনি ও তার লোকজন মিলে দাফন করেছেন। নিজেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
[৮] খোরশেদ বলেন, আমি রিপোর্ট পেয়েছি শনিবার। আমার দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে চলে গেছি। আমি নিজে চিকিৎসা নেব বাড়িতে থেকে। তবে আমার সকল কার্যক্রম চলবে। আমার টিম সক্রিয় থাকবে। আমার ফোন চালু থাকবে। আমি যতদিন বেঁচে আছি এক বিন্দুও নড়ব না। আমাদেরসময়