হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : [২] ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র লিয়াকত মোল্যার ছেলে শোয়েব মোল্যাকে (২৮) চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে ভাঙ্গা পৌর এলাকার হোগলাডাঙ্গী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৩] শোয়েব মোল্যার বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা ছাড়াও সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে পুলিশ একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে দেশিয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে।
[৪] ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত ২১ মে হোগলাডাঙ্গী গ্রামের ব্যবসায়ী সেকেন্দার বেপারীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে শোয়েব। টাকা না দেওয়ায় তাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় শোয়েবের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ওই ব্যবসায়ী। শোয়েব ভাঙ্গার মন্টু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
[৫] ভাঙ্গা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও হোগলাডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা লাবলু মুন্সি গণমাধ্যমকে জানান, শোয়েবের গ্রেপ্তারের খবরে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। ভাঙ্গা বাজারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতো সে। চাঁদা না দিলে তাদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালানো হতো।
[৬] হোগলাডাঙ্গী গ্রামের সাদ্দাম মুন্সি নামের এক যুবক গণমাধ্যমকে জানান, শোয়েবের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সালিশ বৈঠকের মধ্যে তাকে কোপানো হয়। ছয় মাস আগে একটি মোটরসাইকেল ছিনতাইকালে বাঁধা দেওয়ায় সুমন মুন্সি নামের এক যুবককেও কুপিয়ে জখম করে শোয়েব।
[৭] তবে শোয়েব মোল্যার বাবা ভাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র লিয়াকত মোল্যা সাংবাদিকদের বলেন, 'আমার ছেলের বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ। সে কোনো সন্ত্রাস বা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয়।'
[৮] পুলিশের ভাঙ্গা সার্কেলের এএসপি গাজী রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শোয়েব সংঘবদ্ধ মাদক বিক্রেতা চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে তদন্তে জানা গেছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :