আসিফুজ্জামান পৃথিল : [৩] এর আগে কোনও রোগের ক্ষেত্রে একসঙ্গে এতোগুলো টিকা নিয়ে গবেষণা হয়নি। আর গবেষণা শুরুর ৬ মাসের মধ্যেও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নজির এর আগে ছিলো না। সে হিসেবে সব ধরনের রেকর্ড ভেঙে গবেষণা চলছে করোনার টিকা নিয়ে। স্ক্রল, ন্যাচার, টাইমস, দ্য সান, হু, বিজনেস ইনসাইডার
[৪] এপ্রিল মাসের শুরুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার-হু প্রধান তেদরোস আধানোম বলেছিলেন, নতুন করোনাভাইরাসের টিকা গবেষণা অতি দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ১৫ মে নাগাদ সংস্থাটির খসড়া তালিকায় ১২৫টি উদ্যোগের তথ্য ছিল। তালিকা অনুযায়ী ১০টি টিকা মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর ১১৫টি প্রাক্-পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়ে গেছে। তালিকায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে থাকা ১০টি টিকার ৬টিই চীনের।
[৫] এ বছরের শেষের দিকে কিছু মানুষকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে চীন। দেশটির রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের প্রধান গাউ ফু এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কে এই ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য যোগ্য হবে, তা নির্ধারণে নির্দেশিকা তৈরি করছে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি।
[৬] অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান এন্ড্রু পোলার্ড বলেন, দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের এ কর্মসূচিতে আরও ১০ হাজার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
[৭] এদিকে টিকার গবেষকরা জানিয়েছেন, আবিষ্কারের পর সবার আগে অগ্রাধিকার পাবেন ফ্রন্টলাইনে থাকা কর্মীরা। এদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, নিরাপত্তা ও গণমাধ্যমকর্মী। সারা বিশ্বেই এই ৩ পেশার মানুষের আক্রান্ত হবার হার সর্বোচ্চ।
আপনার মতামত লিখুন :