লিহান লিমা: [২] জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিখাইল বেচল্যাট পুলিশ কর্তৃক আফ্রো-আমেরিকান যুবক জর্জ ফ্লুয়েড হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ডয়েচে ভেলে
[৩] স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই বর্ণবৈষম্য ও আফ্রো-আমেরিকানদের বিরুদ্ধে পুলিশের নৃশংসতা বন্ধ করতে হবে। জনসম্মুখে এক পুলিশ অফিসার কর্তৃক যুবককে হত্যা নিরস্ত্র-আফ্রো আফ্রিকানদের হত্যার দীর্ঘ ইতিহাসে আরো একটি সংখ্যা যোগ করলো।
[৪] সোমবার রেস্টুরেন্ট কর্মী জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তারের পর হাঁটু দিয়ে চেপে রাখে পুলিশ সদস্য ডেরেক চাউভিন। পথচারীদের ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায় অচেতন হওয়ার আগে ফ্লয়েড বলছিলেন, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না, আমার ব্যথা হচ্ছে’। এরপরই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
[৫] ফ্লয়েডের মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ সৃষ্টি হয়। হত্যার বিচার দাবিতে রাজপথে নেমে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। হাজারো বিক্ষোভকারীর ওপর রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
[৬] তৃতীয় দিনে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস, ওয়াশিংটনসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নিউইয়র্কের বিগ অ্যাপল থেকে এ পর্যন্ত ৭০জনকে আটক করা হয়েছে। ডেনভারের কলারাডো স্টেট ক্যাপিটালে শত শত বিক্ষোভকারী বিচার দাবী করলে বিক্ষোভে গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ বন্ধ না হওয়ায় মিনেপোলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্লেরি বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়ভাবে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। বিক্ষোভ ঠেকাতে জারি করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড ও প্রাদেশিক সৈন্য। এএফপি
[৭] প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এফবিআইকে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যার্টনী জেনারেল এরিকা ম্যাকডোনাল্ড এফবিআইএর অফিসার ইন চার্জ রাইনের ড্রোলসাগেেেনর সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘এই মামলা এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে।’ এপি
আপনার মতামত লিখুন :