ইয়াসিন আরাফাত : [২] সোমবার বিনা চিকিৎসায় পরিমল ঘোষ নামের ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরের মৃত্যু হয় বলে তার সহকর্মীদের অভিযোগ। এসময় কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভে পুলিশকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এক সপ্তাহের ব্যাবধানে দ্বিতীয়বার কলকাতা পুলিশ কর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এলো। এই সময়, হিন্দুস্তান টাইমস, কোলকাতা ২৪
[৩] জানা যায়, এদিন সকালে বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হয় পরিমল ঘোষের। শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোববার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই গড়ফা থানার পুলিশকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর বিক্ষোভ চরমে পৌঁছলে নিজেদের থানাতেই ভাঙচুর শুরু করে দেন পুলিশকর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা।
[৪] পুলিশকর্মীদের অভিযোগ, ওই পুলিশকর্মীর যে চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল,সময় মতো তা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারী পুলিশ কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, আরও আগে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন ছিল।
[৫] তাদের প্রশ্ন, তাকে কেন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হল না?
[৬] পুলিশকর্মীদের দাবি, কর্মকর্তাদের মতো তাদের চিকিৎসাও বেসরকারি হাসপাতালে হোক।
[৭] কলকাতা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে গড়ফা থানার এক পুলিশকর্মীর করোনা ধরা পড়েছিল। তারপর থানার ৪ পুলিশকর্মীকে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তখন তাদের লালারসের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। সেই চার জনের একজন ছিলেন পরিমল। রোববার তার করোনার উপসর্গ দেখা দেয়।
[৮] উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে কোলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের ভিতরে বিদ্রোহ করেন কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, করোনা সংক্রমিত এলাকায় ডিউটি করতে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের। এই অভিযোগে ডিসি কমব্যাট ফোর্সকে লাঠি নিয়ে তাড়া করেন তারা। কোনোক্রমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে হয় পদস্থ ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :