আনিস তপন : [২] রোববার গ্রীণরোডের যৌথনদী কমিশনের সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বাঁধ মেরামত কাজে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়া হয়। সেলক্ষ্যে আগামী ৩০ মে'র মধ্যে সকল নির্বাহী প্রকৌশলীদের স্ব স্ব অধিক্ষেত্র সরেজমিন পরিদর্শন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। পোল্ডারসমূহের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
[৪] এ সময় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী জনাব এ কে এম এনামুল হক শামীম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জনাব মাহমুদুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
[৫] সভা সূত্রে জানাগেছে, উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপকভাবে শস্যহানি না হলেও পানি নিষ্কাশন অব্যবস্থাপনা ও পুরাতন বাঁধ থাকায় এখনও প্রায় ১ লক্ষ মানুষ পানি বন্দি রয়েছে। এছাড়া খুলনার কয়রা, দাকোপ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার আনুমানিক ১৭০ জায়গায় প্রায় ৯৯ টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
[৬] এর আগে গত ২২ ও ২৩ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা পরিদর্শন করেন পানি সচিব কবির বিন আনোয়ার। পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন এবং মোতায়েনকৃত সেনাপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সভায় মিলিত হয়েছেন পানি সচিব। এরই ধারাবাহিকতায় সভায় পানি সচিব তাঁর সফর সম্পর্কে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী মহোদয়ের সামনে সফর বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।