সুজন কৈরী ও মহসীন কবির : [২] করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজু আহম্মেদ নামে আরও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটে পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুলিশের ১৩ সদস্যের মৃত্যু হলো।
[৩] ওই পুলিশ সদস্য হলেন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) রাজু আহম্মেদ। তিনি ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটে (সিটিটিসি) কর্মরত ছিলেন।
[৪] রোববার (২৪ মে) সকালে রাজধানীর রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের (সিপিএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজু। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (গণমাধ্যম) সোহেল রানা। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
[৫] সিপিএইচ সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মে করোনা পরীক্ষা করান পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ। ৩ মে পাওয়া ফলাফলে তার করোনা পজিটিভ আসে। পরে ৪ মে তিনি সিপিএইচ-এ ভর্তি হন। সিপিএইচ’র আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
[৬] মরহুমের মরদেহ পুলিশের উদ্যেগে তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
[৭] রাজু আহম্মেদের মৃত্যুতে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
[৮] এর আগে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পুলিশের আরও ১২ সদস্য মারা গেছেন। তারা হলেন— কনস্টেবল নাইমুল হক, জালাল উদ্দিন খোকা, মোখলেছুর রহমান, আশেক মাহমুদ ও জসিম উদ্দিন; নায়েক মামুনুর রশীদ; সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রঘুনাথ রায় ও আবদুল খালেক, উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতানুল আরেফিন, মুজিবুর রহমান তালুকদার, নাজির উদ্দিন ও মোশাররফ হোসেন শেখ।