মহসীন কবির : [২] বরিশাল, চাঁদপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, লালমনির হাটের কালিগঞ্জ, পটুয়াখালী, চট্টগ্রামের ৭ উপজেলা, লক্ষ্মীপুরের ১১ গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে মানুষ। ঈদের নামাজও আদায় তারা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পড়া হয় ঈদের নামাজ। নামাজ শেষে দেশের শান্তি কামনায় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] বরিশাল বিভাগের কয়েকটি স্থানে লক্ষাধিক মানুষ ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করছে। সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কাউকে কাউকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা গেলেও অনেকেই মানেন নি।
[৪] দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬০টি গ্রামে ঈদ উল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। সকালে সাতকানিয়ার মির্জাখিল দরবার শরীফে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
[৫] চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া ও শাহরাস্তিসহ ৫ উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সকাল সোয়া ৯ টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে দেশের শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
[৬] ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১০টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। নামাজ শেষে তারা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে একে অপরের সাথে সৌহার্দ বিনিময় করেন।
[৭] শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে। সকাল ৯টায় ও ১০টায় ঈদের দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারীরা প্রতিবছর এই জামাতে অংশ নিলেও এ বছর উপস্থিতি কম ছিল। এদিকে, নারীদের ঈদের জামাতে মানা হয়নি কোনও সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি।
[৮] মাদারীপুরের ৪০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। এবার করোনার কারণে দুটি মসজিদে সকাল ৯টায় একই সাথে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
[৯] দিনাজপুরের সদর, চিরিরবন্দর, কাহারোল উপজেলার কয়েকটি এলাকায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে প্রায় ২ হাজার পরিবার। এছাড়া বরগুনার ১৫টি, পিরোজপুরের ১০টি এবং পটুয়াখালীর ২৫টি গ্রামের কয়েকশ পরিবার উদযাপন করছে ঈদ।