লাইজুল ইসলাম: [২] করোনার থাবায় বিপর্যস্ত বিশ্ব। এতে ক্ষতির মুখে পরিবহন ব্যবসা। আকাশ পথে চলাচল কারি বিমানসংস্থাগুলোকে বাঁচাতে গাইডলাইন দিয়েছে সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন আইকা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
[৩] এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান বলেন, ফ্লাইট চালু হলে চেক-ইন, ইনফ্লাইট সার্ভিস, ক্রুদের মুভমেন্টসহ নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চেক-ইনের সময় কাউন্টার ও আশপাশের সহযোগীদের সার্বক্ষণিক মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস, ডিস্পোজেবল ক্যাপ পরতে হবে।
[৪] এম. মফিদুর রহমান বলেন, কাউন্টারের পাশে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। চেক-ইনের আগে যাত্রীর শরীরের তাপপাত্রা মাপতে হবে। তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি এর বেশি হলে তাকে বোর্ডিং পাস দেওয়া হবে না। এ ছাড়া যাত্রীদের উড়োজাহাজে ওঠার আগে একটি প্যাসেঞ্জার হেলথ কার্ড দেওয়া হবে। কার্ডে তিনটি প্রশ্নের উত্তর সন্তোষজনক না হলে ফ্লাই করতে পারবেন না যাত্রী।
[৫] বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, সব বিমান সংস্থাকে ফ্লাইট ছাড়ার আগে ‘সার্টিফিকেট অব ডিসইনফেকশন’ নিতে হবে। প্রতিবার জীবাণুমুক্তের পর বেবিচকের প্রতিনিধিরা প্রক্রিয়াটি দেখে সার্টিফাইড করবেন, এরপরই ফ্লাইট ছাড়বে।
[৬] তিনি আরও বলেন, দেড় ঘণ্টার নিচে কোনো ফ্লাইটে খাবার পরিবেশন করা হবে না। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সীমিত আকারে পানি ও জুস থাকবে যা আগে থেকেই ইনট্যাক্ট বক্সে রাখতে হবে। দেড় ঘণ্টা থেকে তিন ঘণ্টার ফ্লাইটের যাত্রীদের শুকনা খাবার দিতে হবে যা বিমানে ওঠার আগেই সরবরাহ করতে হবে।
[৭] বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, ফ্লাইটের সময় যদি চার ঘণ্টার বেশি হয় তবে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র রাখতে হবে। প্রতি ২-৩ ঘণ্টা পরপর যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা মাপতে হবে। কারও তাপমাত্রা যদি ৯৯.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হয় তবে ক্রুরা আগে থেকেই ডেসটিনেশন এয়ারপোর্টকে জানাবে যাতে প্লেন ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গে তারা ব্যবস্থা নিতে পারেন। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয়ে পরিবর্তন আসবে সামনে বিমানযাত্রায়।