সোহেল সানী, পার্বতীপুর প্রতিনিধি : [২] বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ঈদের বাজার এখন তুঙ্গে। হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতা সামলাতে। বস্ত্র বিপণিগুলোতে মালিক ও কর্মচারীদের দম ফেলার ফুরসত নেই।
[৩] তবে ক্রেতা সাধারণ জিনিসের দাম শুনে হতভম্ব হয়ে পড়ছেন। মাছ-মাংসের ও কাঁচাবাজারে দ্রব্যমূল্য টানানোর নির্দেশনা থাকলেও পার্বতীপুরে এখন পর্যন্ত কোন দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা টানানো হয়নি। এসব দেখার জন্য রয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর, কিন্তু নেই তাদের তৎপরতা।
[৪] অন্যদিকে, বস্ত্র বিপণিগুলোতে ক্রেতা সাধারণের গলাকাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে তৈরি পোশাক, জুতা-সেন্ডেল, কসমেটিক সামগ্রীর দোকানগুলোতে।
[৫] জুলফিকার আলী বলেন, এসব দেখার কেউ নাই। আরেক ক্রেতা মেহেরাব আলী (৩০), বাড়ি উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের সোনাপুকুর গ্রামে। তিনি বলেন, আমরা কৃষকেরা যা কিছু বেচতে আসি তার কোনটার উপযুক্ত মূল্য পাই না। আর যা কিছু কিনতে আসি তার কোনটাতে হাত দেওয়া যায় না।
[৬] হামিদপুর ইউনিয়নের পাতিপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, আসলে দোকানদাররা সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিছে। ৩শ’ টাকার জিন্সের প্যান্ট ৮শ’ টাকার কমে মিলছে না। প্রতিটি শার্ট ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা নেয়া হচ্ছে। চামড়ার স্যান্ডেল সারা বছর ৫শ’ টাকায় পাওয়া যায়, এখন তা ৯শ’ টাকায় মিলছে না।
[৭] পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা.শাহনাজ মিথুন মুন্নী বলেন, ইতিমধ্যে শহর ও গ্রামের হাট বাজারগুলোতে মূল্য তালিকা টানানোর জন্য বলা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ