শিরোনাম
◈ ইসরায়েল খেললে বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কট কর‌বে স্পেন ◈ এ‌শিয়া কা‌পে রা‌তে শ্রীলঙ্কা - আফগা‌নিস্তান মু‌খোমু‌খি, লঙ্কান‌দের জয় দেখার অ‌পেক্ষায় বাংলাদেশ  ◈ আওয়মী লীগ বিহীন বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে এখন যে সব চিন্তাভাবনা  ◈ চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লিগ, চেলসিকে হা‌রি‌য়ে বায়ার্ন মিউ‌নি‌খের শুভ সূচনা ◈ কিশোরগঞ্জ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য স্থগিতাদেশ উঠিয়ে দিন, না হলে ভিন্ন পথ নেবো, জানালেন ফজলুর রহমান ◈ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা ◈ হ‌্যান্ড‌শেক না করায় অপরাধ হিসা‌বে ভারতের ম‌্যাচ ফি ৫০ ভাগ একং ২‌টি ডি‌মে‌রিট প‌য়েন্ট জ‌রিমানা হ‌তে পা‌রে ◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আচ্ছা, প্রতিবছর নড়বড়ে বাঁধগুলো ভেঙে যায় কেন? বাঁধগুলোর বিপুল বরাদ্দ কোথায় যায়?

মাহা মির্জা : টঙ্গির রোমো ফ্যাশনস-এর এক গার্মেন্টস কর্মীর সঙ্গে কথা হচ্ছিলো, মার্চ মাসের বেতন এখনো পাননি তারা। ২-৩ মাসের ঘরভাড়া বাকি পড়েছে। অথচ ভালোমানুষ বাড়িওয়ালাই নাকি দুইটা মাস ধরে ৮ ঘরের মানুষকে রান্না করে খাইয়েছে। কিন্তু এখন আর কুলাতে পারছেন না। নোটিস দিয়েছেন। এই মেয়েগুলোর গ্রামে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই। সাভার আশুলিয়া এলাকার প্রায় অর্ধশত ছাঁটাই হওয়া গার্মেন্টস কর্মীর দেড়-দুই সপ্তাহের খাদ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছিল এপ্রিলর শেষে, তাদের খাবারও ফুরিয়ে এসেছে। ঢাকার এনআইডি নেই কারো, তাই সরকারি ত্রাণেরও আশা নেই। তারাও কি ফিরে যাবে? আচ্ছা, মানুষ দলে দলে গা ঘেঁষাঘেষি করে গ্রামে ফেরে কেন? ঈদ লাগসে সবার না?

 

সকালে একজন জানালো একটা ছোট পিক আপ ভ্যানে করে মিরপুর এলাকার ২৭ জন মানুষ ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ ফিরে গেছে কাল রাতে। সবাই হকার, ফেরিওয়ালা, গাড়ির হেলপার... পুঁজি ভাঙিয়ে চলছিলেন এতোদিন, এখন সব শেষ। ঘর ভাড়া বাকি পড়েছে, বাড়িওয়ালার অত্যাচার। গ্রামে ফিরে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
স্টে হোম ক্যাম্পেইনাররা খুব বিরক্ত তাই না? ভাবি, কী অন্তঃসারশূন্য সব ক্যাম্পেইন তারা চালিয়েছেন এতোদিন। ‘দূরে দূরে কাছে থেকে দেশটাকে ভালো রাখার’ ক্যাম্পাইন। হাহ। সাহস করে একটাবারও বলতে পারেননি কেউ, ১৭ লাখ টন চালের মজুদ আছে তোমার, ঘরে ঘরে অন্তত চালটা পৌঁছে দাও। কারণ ‘জীবন আসলে বাঁধা পাকস্থলীতে’। বিখ্যাত অর্থনীতিবিদদের আলোচনাগুলো শুনছিলাম। তারা আলোচনা করছিলেন, অথনীতি ভি শেইপ হবে, ইউ শেইপ হবে না ডাব্লিউ হবে। কী ভীষণ রকমের অন্তঃসারশূন্য সব আলাপ। আলাপের কোথাও কোনো মানুষ নেই।

 

টিভিতে দেখলাম, বাগেরহাটের একটা মধ্যবয়স্ক লোক ঝড়ের মধ্যেই খুব কাঁদছে। কেন কাঁদছে লোকটা? ফসল ডুবে গেছে? ঘরের চাল উড়ে গেছে? কে জানে। কার কী যায় আসে। আচ্ছা, প্রতিবছর নড়বড়ে বাঁধগুলো ভেঙে যায় কেন? বাঁধগুলোর বিপুল বরাদ্দ কোথায় যায়। কে করবে এই প্রশ্ন? থাক। মানুষের এতো কষ্ট। এতো কষ্ট। আজ তো অসীম রহমতের রাত। আল্লাহ সবাইকে রহম করুন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়