শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ ◈ তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি ◈ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের ◈ উপজেলা নির্বাচনে হার্ডলাইনে বিএনপি, ৭৩ নেতা বহিষ্কার ◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন 

প্রকাশিত : ২১ মে, ২০২০, ০৬:১৩ সকাল
আপডেট : ২১ মে, ২০২০, ০৬:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গুজবে অস্থির ওষুধের বাজার

নিউজ ডেস্ক : করোনার এখনো কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ বের হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধে নানা ধরনের ওষুধ নিয়ে বাজারে প্রচারণা চলছে। চিকিৎসা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওষুধ নিয়ে ‘গুজব’ ছড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে। কেউ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসকেরা স্বাভাবিক কিছু ওষুধ দিচ্ছেন। তাতে অনেকেই ভালো হয়ে যাচ্ছেন। এতেই কিছু মানুষ সেই সব ওষুধ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।

ফলে অখ্যাত কোম্পানির কিছু ওষুধও ১০ গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ঐ ওষুধগুলো আক্রান্তদের প্রয়োজন। কিন্তু তারা কিনতে পারছেন না। অথচ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ না খেতে বারবার নির্দেশনা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব ওষুধে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার কথাও বলছেন চিকিৎসকেরা।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ ইত্তেফাককে বলেন, ‘কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না। প্রত্যেক ওষুধের একটা প্রতিক্রিয়া আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেলে কিডনি, লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া বিকলাঙ্গ হওয়ারও আশঙ্কা আছে। তাই আন্দাজে ওষুধ না খেয়ে প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। তাহলে ওষুধ লাগবে না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন খেতে শুরু করেছেন। কয়েক জন চিকিৎসক আক্রান্ত রোগীদের ওপর নোভার্টিজ গ্রুপের অ্যাজিথ (৫০০ এমজি), ডেলটা গ্রুপের স্ক্যাবো ৬ (৫ এমজি), অপসোনিনের ডক্সিন (১০০ এমজি) প্রয়োগে ভালো ফল পেয়েছেন। ফলে তারা রোগীদের উপসর্গ অনুযায়ী এসব ওষুধ খেতে বলছেন। এখন সাধারণ মানুষও কোনো ধরনের উপসর্গ ছাড়াই এসব ওষুধ খেতে শুরু করেছেন। আবার ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি (জিংক) অনেকেই খাচ্ছেন। এতে বাজারে এই ওষুধগুলোর সংকট তৈরি হয়েছে। অনেকে প্রয়োজন হওয়ার পরও পাচ্ছেন না। আবার ভারতের কিছু দৈনিকের খবর দেখে অনেকে প্রতিষেধক হিসেবে হোমিওপ্যাথি আর্সেনিকাম অ্যালবাম-৩০ খেতে শুরু করেছেন। কেন তারা এসব ওষুধ খাচ্ছেন নিজেরাও জানেন না। সূত্র : ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়