তাড়াশ প্রতিনিধি: [২] চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও হত্যার শিকার সেই মেধাবী কলেজ ছাত্রী রুপার পরিবারের বাড়িতে ঈদ সামগ্রী নিয়ে হাজির হলেন তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ।
[৩[বুধবার বিকালে তিনি রুপার মায়ের জন্য একটা শাড়ি, ঈদের বাজার (সুগন্ধি চাল, সেমাই, লাচ্চা, গুড়া দুধ, তেল, চিনি,সাবান) এবং নগদ টাকা বিতরণ করেন।
[৪]এ প্রসঙ্গে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিদের্শনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ক্ষুদ্রকর্মী হিসেবে নিজের সাধ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছি। করোনার শুরু থেকেই তাড়াশ সদর ইউনিয়নের ভিজিএফ, ভিজিডি কার্ডের সুবিধাভোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়ে আসছি। যারা নগদ টাকা পান তাদেরকেও গিয়ে বিতরণ করছি। তিনি বলেন, আজকে হয়ত অনেকেই সেই রুপার কথা ভুলে গেছে। মানবিক কারণে আমার সাধ্যমতো রুপার পরিবারের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি মাত্র।
[৫]জানা যায়, রুপার গ্রামের বাড়ি বারুহাস ইউনিয়নে হলেও তাড়াশ সদর চেয়ারম্যানের এমন মহানুভবতায় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। মায়ের আকুতি তাঁর জীবদ্দশায় তার মেয়ের খুনিদের বিচার দেখতে চান।
[৬]২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শেষে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ী গ্রামের মৃত জেলহক প্রাং-এর মেয়ে মেধাবী ছাত্রী রুপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে হত্যা করে পরিবহন শ্রমিকরা। পরে তাঁকে মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চার আসামিকে মৃত্যুদন্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদন্ড দেন টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর এই মৃত্যুদ-ের রায় অনুমোদনের জন্য একই বছরের ১৮ ফেব্র্রুয়ারি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। সেই থেকে মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন।
আপনার মতামত লিখুন :