শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ [২] আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রচারিত ১০নম্বর বিপদ মহা সংকেতের খবর শুনে উৎকণ্ঠা বেড়েছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার মানুষের মাঝে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
[৩] উপজেলার ১৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিৎ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
[৪] শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, ঘূর্ণিঝড় “আম্ফান” মোকাবেলায় উপজেলা ও ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির একাধিক সভা করে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি উদ্ধার তৎপরতা, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বেচ্ছাসেবক এবং মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত আছে। এ ছাড়া উপজেলার মোট ১৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য সহায়তার জন্য পর্যাপ্ত চিড়া, গুড়, পানি এবং মোমবাতি ও দিয়াশলাই মজুদ রাখা হয়েছে।
[৫] ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যসূত্রে জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে যেকোনো মুহূর্তে সুপার সাইক্লোনে রূপ নিয়েছে। বর্তমানে মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় সাড়ে ৩২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। যেকোনো মুহূর্তে দিক পরিবর্তন করে সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঝড়ের সতর্কবার্তা প্রচার এবং উদ্ধার কাজের জন্য শরণখোলায় ৪৫টি সিপিপি সেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রয়েছে। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ