শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০২০, ০৭:১৮ সকাল
আপডেট : ১৮ মে, ২০২০, ০৭:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমানের চরণে

আসিফ আকবর : গানের জগতে আমার নাম-ডাক যাই থাকুক, কিছু জায়গায় ঝিনুকের মতো শক্ত খোলসে নিজেকে আটকে রাখি। প্রবল পরাক্রমশালী সংগীতজ্ঞদের সান্নিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। সবাই আমাকে কেন যেন খুব দ্রুত তাদের কাছে টেনে নিয়েছেন। বাংলাদেশে শেষ প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে আমিই সবচেয়ে সৌভাগ্যবান। আমার ভেতরে সবসময় একটা ভয় কাজ করে, আর সেটা হচ্ছে সংগীত সম্পর্কে নিজের অজ্ঞতা। একান্তই বাধ্য না হলে আমি দেশের মহীরুহ সংগীতজ্ঞদের ত্রিসীমানায় অযথা ঘোরাঘুরি করিনি কখনো। তাদের সামনে পড়ে গেলে শ্রদ্ধায় নুয়ে পড়েছি বারবার। সবসময় চেষ্টা করেছি যথাযথ সম্মান জানানোর।

বাংলাদেশের একজন অমর কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ শ্রদ্ধেয় আজাদ রহমান স্যার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজাদ রহমান স্যার সম্বন্ধে লিখে পা-িত্য দেখানোর যোগ্যতা আমার নেই। ছোটবেলায় এক ব্যান্ডের রেডিওতে তার নাম শুনতাম উপস্থাপকের মুখে। কুমিল্লা রূপকথা সিনেমা হলে ‘দস্যু বনহুর’ সিনেমা দেখা তখন শেষ। আর রেডিওতে কান দিয়ে অপেক্ষা করতাম আজাদ রহমান স্যারের সুর করা এবং নিজ কণ্ঠে

গাওয়া ডোরাকাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায় গানটি শোনার জন্য। সেই সময়ে কী দুর্দান্ত সৃষ্টি তিনি করে গেছেন, যা এখন ভাবাই যায় না।

 

জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো, এক বুক জ্বালা নিয়ে বন্ধু তুমি, মনেরও রঙ্গে রাঙ্গাবো, ভালোবাসার মূল্য কতো, ও চোখে চোখ পড়েছে যখনই এ ধরনের অনেক অমর সৃষ্টি সমৃদ্ধ করেছে বাংলা সংগীতের ভা-ার। সম্ভ্রান্ত বংশীয় শিক্ষিত একজন দানবীরের মহাপ্রয়াণে আমরা শোকাহত। গত বছর একটা ক্ল্যাসিক্যাল সংগীত সন্ধ্যায় যেতে হয়েছে বাধ্য হয়ে। সংগীতের গুরুজনদের সরব উপস্থিতি থাকায় আমি একেবারে অডিটোরিয়ামের পেছনের সারিতে গিয়ে বসেছি জন্মগত ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে। আমাকে স্টেজে ডেকে উত্তরীয় পড়ানো হবে, নাম ঘোষণার পর কোথায় লুকাই সেই চিন্তায় অস্থির ছিলাম। স্টেজ থেকে নেমে সরাসরি গিয়ে সামনের সারিতে বসা আজাদ রহমান স্যারের পায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সালাম করলাম। তিনি আমাকে বললেন, আসিফ আমি সব খবর রাখি, ভালো হচ্ছে তোমার গান-বাজনা।

 

কোনো কথা না বলেই চলে এসেছি, একটা ছবি তোলার সাহসও পাইনি। যদিও আজকাল এসবের কোনো তোয়াক্কা করে না বীর সেলফিবাজরা। গায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পাড়িয়ে মাড়িয়ে সরি বলে নিজের যোগ্যতায় ছবি তুলে ফেসবুকে অমর হয়ে যায় জীবিতাবস্থায়। আজাদ রহমান স্যারের বাসায় যাবো যাবো করে যাওয়ার সাহস পাইনি। আজ তিনি নিজেই চলে গেলেন, রেখে গেলেন সৃষ্টির আনন্দ। কয়েক বছরে আমরা হারিয়েছি সংগীত জগতের অনেক গুণী মানুষ, হয়তো সামনে আরও হারাতে হবে। এখনি সময় দেশের এই রতœদের নিয়ে আর্কাইভ বানানোর কাজ শুরু করা, এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সমৃদ্ধ হবে জ্ঞানে। মরহুম আজাদ রহমান স্যারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়