এম. আমান উল্লাহ : [২] অবশেষে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। প্রথমবারে মতো দুই রোহিঙ্গার শরীরে করোনার পজেটিভ পাওয়া গেছে। ১৪ মে দুই রোহিঙ্গাসহ নতুন করে মোট ১২ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন।
[৩] তিনি জানিয়েছেন, কক্সবাজারের ল্যাবে নতুন পরীক্ষা করা ১৮৬ জনের মধ্যে ১২ ব্যক্তির দেহে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। তবে তারা কোন ক্যাম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
[৪] তিনি আরও জানান, অপর ১০ জনের মধ্যে কক্সবাজার সদরের ৯ জন এবং একজন চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে কক্সবাজারে করোনায় শনাক্ত হলেন দুই রোহিঙ্গাসহ ১৩১ জন।
[৫] এদিকে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে হেলথ কো-অডিনেটর ডা. তোহা বলেন, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে ৩৬ জন রোহিঙ্গার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তারমধ্যে বৃহস্পতিবার দুইজন রোহিঙ্গার করোনা পজেটিভ এসেছে। তারা দুইজনই উখিয়া ক্যাম্পের বাসিন্দা। একজন ক্যাম্প-১, ই-ব্লকের এবং অপরজন হচ্ছে এমএসএফ ওসিআই রয়েছে। দুইজন রোহিঙ্গাকেই আইসোলেশনে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া এই দুই রোহিঙ্গা ঘর ও আশপাশের এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।
[৬] ফলে কক্সবাজার জেলায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে ২ রোহিঙ্গা সহ ১৩১ জনই শনাক্ত করা হল। যদিও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৫ জন। অন্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবন জেলার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার বাসিন্দা।
[৭] গত ৪৩ দিনে মোট ৩৩৬৩ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা ভাইরাস টেস্ট করা হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে। তারমধ্যে ১৪৫ জনের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ পাওয়া গেল। এর মধ্যে মহেশখালীতে ১২ জন, টেকনাফে ৭ জন, উখিয়ায় ১৪ জন, রামু ৩ জন, চকরিয়ায় ৩৭ জন, কক্সবাজার সদরে ৩৬ জন, এবং পেকুয়ায় ২০ জন রয়েছে। এর সাথে যোগ হল ২ জন রোহিঙ্গা। অন্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবন জেলার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার বাসিন্দা।