প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] বিজ্ঞ এই চিকিৎসক একাত্তর টিভির এক অনুষ্ঠানে জানান, গত বছর ঘোষিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। অর্থ্যাৎ প্রতিজনের জন্য ১৪২৭ টাকা। যা যথেষ্ট নয়, আমরা স্বীকার করি। কিন্তু এ খাতে দুর্নীতি বন্ধ না হলে এই বরাদ্দও কোন কাজে আসবে না।
[৩] আমরা যদি স্বাধীনতার পর থেকে দেখি, ৭৫ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যখাতে কী হবে তারপ্রতি সরকারের কমিটমেন্ট ছিল। এরপর ২০০০ সালে স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন হয়।
[৪] ২০১১-তেও একটা স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করা হয়। নীতি নির্ধারকরা অনেক বিশ্লষণ করে এটি করেছিলেন। সেখানে কিন্তু বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর সমাধান দেয়া আছে।
[৫] কিন্তু রাজনৈতিক কমিটমেন্ট যদি না থাকে তাহলে কোন সমস্যার সমাধানই সম্ভব না। শুধু টাকা বরাদ্দ দিলেই হবে না সেই টাকা কার্যকরভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা সেটাই আসল।
[৬] সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ, ব্যবস্থাপনাসহ স্বাস্থ্যখাতে বেশকিছু বিষয় জরুরী রয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, জনগণকে বেশিরভাগ ক্ষেত্র টাকা দিয়ে ঔষুধ কিনতে হয়।
[৭] ঔষুধে আমরা স্বর্ংসম্পূর্ণ কিন্তু দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপার আছে। যে বরাদ্দ দেয়া হয় তার সিংহভাগ চলে যায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সংশ্লিষ্টদের বেতন দিতে। তাই সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় হয় খুব স্বল্প অংশ।
[৮] হেলথ সেন্টারে রিসার্চ নাই। সেখানে বরাদ্দও তেমন নাই। আমাদের রিসার্চ সেন্টারগুলোকে কার্যকর করে গড়ে তোলা এ মুহূর্তে দরতকার। তাহলে তারা গবেষণা করে যে তথ্য দিবে তাতে ভবিষ্যতে আমরা এরকম মহামারী কী করে নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে পারবো। সূত্র : একাত্তর টিভি