আক্তারুজ্জামান : [২] কবে খুলবে দুয়ার, মেলবো ডানা, উড়বো আকাশে। এটাই কোনো বন্দী পাখির সবচেয়ে বড় ইচ্ছা। এখন ওই পাখির মতো লিটন দাসও যেনো মুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। মুক্ত মাঠে দৌড়াবেন খেলবেন। কিন্তু সবকিছুই খাঁচার মতো করে রেখেছে বেরসিক করোনা।
[৩] মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্বপ্নের মতো একটা সিরিজ খেলেই পড়তে হয়েছে অনির্দিষ্টকালের বিরতিতে। বন্দিজীবন বড় একঘেয়ে লাগছে লিটনের। ঘরবন্দী জীবনে নিজের শিল্পীসত্তা ফুটিয়ে তুলেছেন। রং পেন্সিলে এঁকেছেন এক কাব্যিক দৃশ্যপট- পাখিকে মুক্ত করতে উড়ে এসেছে আরেকটা পাখি।
[৪] জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৫৫ গড়ে ২ সেঞ্চুরিতে ৩১১ রান। এরপরই রয়েছেন অনির্দিষ্টকালের বিরতিতে। তবে এ নিয়ে আফসোস করছেন না লিটন। নিজের মধ্যে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটি অবশ্য মানতে চাইলেন না লিটন। প্রথম আলো
[৫] তবে এই দুঃসময়ে হতাশ লিটন তো হবেনই। কোথায় এখন ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, নিজেকে আরেক ধাপ ওপরে নেওয়ার চেষ্টা করবেন, তখন হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে ঘরে। হ্যাঁ, এটা ঠিক, পরিবারের সঙ্গে সবারই সময় কাটাতে ভালো লাগে। তবে এভাবে ঘরবন্দী হয়ে নয়। জীবন স্বাভাবিকভাবে চলবে, ঘুরব-ফিরব, তাহলে না ভালো লাগে।