ফারুক ওয়াসিফ : বিদ্যানন্দ নিয়ে বলার মতো ধারণা আমার নাই। দেখতাম তারা কাজ করছে, খুব ভালো লাগতো। এখন যখন সমস্যা হয়েছে তখন দুঃখ পেয়েছি। এসব না হলে খুব ভাল হতো। বাঙালি মুসলিম-হিন্দুর মন এক জ্বলাভূমি। মীমাংসা না হওয়া পুরান সমস্যার ফসফরাস একবার এখানে একবার সেখানে জ্বলে ওঠে। এসব একেবারে উড়াখই না হয়তো। অনেক পুরানা পানি তো! অনেক প্যাঁচালো চোরাকাদা, পচালতা তো জমেছে। মিমাংসার আগে পর্যন্ত এগুলো ভোগাবেই।কিন্তু ঘটনা না জেনে কীভাবে বলি। যারা এ বিষয়ে ফেসবুকে কথাবার্তা বলছেন, তারা নিশ্চয়ই পাটিগণিতের সব রাশি জানেন ভালো করে। এসব ঝগড়া, মনে পড়ে আগেও দেখেছি। দেখে দেখে মাঝেমধ্যে বিষ্ময়কর হতাশায় চুপ লাগে। এর বেশি বলার মতো জ্ঞান এ ব্যাপারে আমার নাই। তবে বোর্হেসের একটা গল্প মনে পড়ছে। এক গ্রামের দুই লোকের মধ্যে পুরান হিংসা। এদিকে দেশে যুদ্ধ বেঁধে গেলো। তারাও যুদ্ধে যোগ দেয় এবং হারে। বন্দিত্বের মধ্যেও তাদের গোঁয়ার্তুমির অনুশীলন চলতে থাকে। সেটা দেখে জয়ীপক্ষ আঞ্চলিক রীতি অনুযায়ী দুজনের ডুয়েল লাগায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কে একই দাগ থেকে দৌড়ে কতোদূর গিয়ে পড়তে পারেÑ সেটার প্রতিযোগিতা। তাদের মরণোত্তর পুরস্কারের পেছনে ছোটানোর আনন্দ উপভোগ করে বিজয়ীরা। এই পুরস্কারের নাম দেয়া হয় ‘বিদ্যানন্দ পুরস্কার’। ফেসবুক থেকে