সুজন কৈরী : [২] করোনা মহামারীতে দেশের দরিদ্র মানুষ খুব কষ্টে দিনযাপন করছেন। সবাই যে যার মতো করে অসহায় মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর আলমও তাদের একজন।
[৩] তিনি ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) পশ্চিম বিভাগের এডিসি ও পিওএম বিভাগের কোয়ার্টার মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
[৪] তিনি ৩০তম বিসিএসের কয়েকজনকে নিয়ে ‘ত্রিমাত্রিক-৩০ বিসিএস’ নামক একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন। সংগঠনটি সারা বছর বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করে। সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তিনি কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে সুরক্ষা সামগ্রী দিয়েছেন। এই সংগঠন রমজান ও ঈদ উপলক্ষে দরিদ্র মানুষ এবং বিভিন্ন হাসপাতালে ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কল্যাণমূলক উদ্যোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে।
[৫] করোনা সংক্রমণ রোধসহ পুলিশ সদস্যদের সুস্থ রাখতে ২/৩ দিন পরপর সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। নিরাপদ থাকার বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের দিকনির্দেশনায় পুলিশ সদস্যদের অত্যন্ত উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ২৪ ঘণ্টা খাবার ব্যবস্থাপনাসহ করোনা মোকাবিলায় অন্যান্য কাজে সহযোগিতার জন্য কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
[৬] জাহাঙ্গীর আলম নিজ উদ্যোগে তার পরিচিত ও গ্রামের অসহায় মানুষদের সাহয্য করছেন। রোববার এমন ১৭ জনের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
[৭] তিনি বলেন, পুলিশের সদস্য হিসেবে গর্ববোধ করছি, যখন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখতে ও শুনতে পাচ্ছি দেশের প্রতিটি জেলায় পুলিশ সদস্যরা জনগণের খুব কাছের মানুষ হয়েছেন। দেশে প্রতিটি ঘরই যেন পুলিশের পরিবার। পেশাদারিত্বের কারনেই হোক আর ব্যক্তি উদ্যোগেই হোক, জনগণের খুব কাছে থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
[৮] তিনি বলেন, পুলিশের প্রত্যেক সদস্য আজ মানবিক পুলিশ, পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ প্রদর্শন করে মানুষের পাশে আছে সবসময়। আমরা ৫ জন সহকর্মীকে হারিয়েছি, তাদের আত্মত্যাগের কথা আজীবন স্মরণ করবে দেশের প্রতিটি মানুষ ও বাংলাদেশ পুলিশ। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :