ডেস্ক রিপোর্ট : [২] সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাত করতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান। এজন্য তারা একটি জোট গঠন করছে। এতে বিরোধী দলের সদস্য ও সিরিয়ার ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ) সদস্যদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। রাশিয়ান আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিল (আরআইএসি) এ খবর জানিয়েছে।
[৩] আরআইএসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশন ফর প্রটেকশন অব ন্যাশনাল ভ্যালু নামক একটি রুশ সংস্থা সিরিয়ায় একটি মতামত জরিপ পরিচালনা করে আসছে। এটি রাশিয়ার নিরাপত্তা দপ্তর ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কার্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। সিরিয়ার জনগণ আল-আসাদকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায় না; ওই জরিপের মতামত এমনই হওয়ার ধারণা করছে রাশিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া বাশার আল-আসাদের পক্ষ নিচ্ছে না। কারণ রাশিয়া সন্দেহ করছে বাশার আল-আসাদ সিরিয়াকে আর নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। সিরিয়ার শাসক দেশকে আফগান পরিস্থিতির দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। যা রাশিয়ার পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
[৪]বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ভুগছে ইরান। তাই এই দেশটি পুরো অঞ্চলে স্থিতিশীলতা অর্জনে আগ্রহী নয়। ইরান সিরিয়াকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করছে। মস্কো তার স্বার্থের নিশ্চয়তা দেয় এমন একটি চুক্তির আলোচনার জন্য আসাদকে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
[৫]তাস আরো জানিয়েছে, সিরিয়াতে উপস্থিত বাহিনী একে অপরের প্রভাবের সুযোগকে মেনে নেয়ার মতো পরিস্থিতির তৈরিতে মস্কো কাজ করছে। ফলস্বরূপ ইরানের তেহরান ও রাশিয়ার মস্কো সিরিয়ায় সুরক্ষিত একটি অঞ্চলে বিভক্ত করবে। যেখানে তুরস্ক সমর্থিত একটি বিরোধী অঞ্চলও থাকবে। ওয়াশিংটন ও এসডিএফ সমর্থিত থাকবে পূর্ব ইউফ্রেটিস। এই বিকল্পটি সব পক্ষের জন্য কম ব্যয়বহুল। আর তুরস্ক সিরিয়া অভিযান শেষ হওয়ার পূর্ব শর্ত হিসেবে আল-আসাদকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে।
অনলাইন, বিবার্তা
আপনার মতামত লিখুন :