জোহরুল ইসলাম : [২] চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সোমবার বিকালে শ্রমিক সেজে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে নাচোল থানার এসআই সোহেল রানা।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর হাট খুতনীপাড়া এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে মানিক(৩০)।
[৩]পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে,গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি মানিকের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের টকটকিয়া গ্রামে একটি বাথান বাড়ি রয়েছে। সে বাথান বাড়িতে থেকে তাঁর জমিজমা দেখা শুনা করে। সেই সুবাধে সেই এলাকার এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে আটক মানিক। ঘটনার এক পর্যায়ে প্রায় ৫ মাস আগে মানিক মেয়েটি কে বিয়ে করবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে মেয়েটি ৩ মাসের অন্তাসত্তা হয়ে পড়ে। মেয়েটি অন্তাসত্তা হয়ে পড়লে মানিক বাথান বাড়ি থেকে পালিয়ে গা ডাঁকা দেয়। পরে অর্ন্তসত্তা মেয়েটি কিছুদিন আগে নাচোল থানায় একটি এজাহার দাখিল করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিত্বে গোপন সংবাদের মাধ্যমে নাচোল থানার এসআই সোহেল রানা জানতে পারে যে ধর্ষক মানিক নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানাধীন চকঘোরী এলাকায় ধান কাটা শ্রমিকের কাজ করিতেছে। সেই সুত্র ধরে আজ সোমবার বিকালে (করোনাভাইরাসের মধ্যেও) নাচোল থানার এসআই সোহেল রানা শ্রমিকের ছদ্মবেশে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চকঘোরী এলাকা থেকে ধর্ষক মানিক কে আটক করে নাচোল থানায় নিয়ে আসে।
[৪] এ বিষয়ে নাচোল থানার উপ -পরিদর্শক সোহেল রানা চাঁপাই প্রতিদিন কে জানান,গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি যে ধর্ষক মানিক নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানাধীন চকঘোরী এলাকায় ধান কাটা শ্রমিকের কাজ করিতেছে। সেই সুত্র ধরে আজ সোমবার বিকালে (করোনাভাইরাসের মধ্যেও) শ্রমিকের ছদ্মবেশে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চকঘোরী এলাকা থেকে ধর্ষক মানিক কে আটক করে নাচোল থানায় নিয়ে আসি।
[৫] এ বিষয়ে নাচোল থানার ওসি সেলিম রেজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাঁপাই প্রতিদন কে বলেন,কিছু দিন আগে নাচোল থানায় নেজামপুর এলাকার এক মেয়ে ধর্ষণের এজাহার দাখিল করেন। এর পর থেকে ধর্ষক মানিক পলাতক ছিলো। তাকে গ্রেফতার করতে থানার এসআই সোহেল রানা অভিনব কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি শ্রমিকের ছদ্মবেশে মহাদেবপুর এলাকা থেকে আজ সোমবার বিকালে ধর্ষক মানিক কে আটক করে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে নাচোল থানার ধর্ষণ মামলায় আটক মানিক কে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :