মো. আখতারুজ্জামান : [২] সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে মারাক্তকভাবে। ফলে দারুন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
[৩] বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আবাসন খাত। এ খাতের সাথে অনেকগুলো লিংকেজ শিল্প জড়িত। আবাসন শিল্পের সাথে ৩৫ লাখ নাগরিকের কর্মসংস্থান জড়িত। ডেইলি বেসিস এখানে কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করে। আবাসন শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হলে অন্যান্য লিংকেজ খাতেও মারাক্তক প্রভাব পড়বে। ফলে অর্থনীতিতে সূদর প্রসারি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সোমবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
[৪] জানানো হয়, ২০১১ সালে আবাসন খাতে যে সংকট তৈরি হয় সেটা দুর হতে প্রায় কয়েক বছর লেগে যায়। বর্তমান সময়ে যে সংকট তা থেকে রক্ষায় এখনই কার্যকর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
[৫] এমতাবস্থায় চারটি দাবি করেন আবাস খাতের ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটি। দাবিগুলো হচ্ছে- অবিলম্বে আবাসন শিল্পে বিনিয়োগকারীদের এ সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উক্ত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে এ খাতে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি করেন। আবাসন ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান ঋণের সুদ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মওকুফ ও সহজ শর্তে পুনঃতফসিল করার দাবিও জানান।
[৬] দীর্ঘ মেয়াদী সংকট নিরসনে আবাসন শিল্পে হাউজিং রি-ফিন্যান্সিং স্কিম পুনঃপ্রচলনের দাবি করেন। এ ছাড়া রিহ্যাব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই এবং এনবিআর এর সমন্বয়ে গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় বাংলাদেশের আবাসন শিল্পের সমস্যা সমাধান এবং সার্বিক উন্নয়নের নিমিত্তে গৃহীত সুপারিশসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করেন।