শিরোনাম
◈ বাংলাদেশি কোম্পানির বিদেশে বিনিয়োগ ১৮ দেশে, স্থিতি ৩৫ কোটি ডলার ◈ ‘সুসম্পর্কই লক্ষ্য’ — বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বার্তা দিলেন রাজনাথ সিং ◈ অভ্যুত্থানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের ভুল ছিল: হিন্দুস্তান টাইমসকে হাসিনা ◈ বিড়াল হত্যাকারী সেই নারী গ্রেপ্তার ◈ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হওয়া জরুরি: জামায়াত আমির ◈ ৫ আগস্টের পর ছাত্ররা ভুল করেছে, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা যাবে ভারতের হাতে: ফরহাদ মজহার ◈ মির্জা আজম বলেন, “সালামান তো বলল পাঠাবে, জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ও তো উল্টা টাকা চায় (অডিও) ◈ রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার ◈ বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে তিন সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত, সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে নতুন প্রশ্ন ◈ সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক করল আইএসপিআর

প্রকাশিত : ০২ মে, ২০২০, ০৭:৩০ সকাল
আপডেট : ০২ মে, ২০২০, ০৭:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিনা চিকিৎসায় মায়ের মৃত্যু, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট  : বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন হায়দার বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক চিঠিতে অভিযোগ করেছেন যে, ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করায় তার মা মাহমুদা খানম (৭৫) মারা গেছেন। তাঁর মায়ের মৃত্যুর জন্য তিনি ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেডের স্বাস্থ্যসেবার অব্যবস্থাপনাকে দোষারোপ করেছেন। এই মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তিবিধানে হস্তক্ষেপ করতে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। বাংলাদেশ প্রতিদিন

তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘মায়ের মৃত্যুর পর আমার জীবনের প্রথম এই চিঠি আপনাকে লিখছি। আমি ন্যায়বিচার দাবি করছি।’ জিয়াউদ্দিন হায়দার কম্বোডিয়া ও লাওসে বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বিষয়ক কার্যক্রমের ক্লাস্টার লিডার পদে কর্মরত। চিঠিতে তিনি জানান, ৫ এপ্রিল প্রচ- সর্দি হয় মায়ের। ভর্তি করার জন্য ১১ এপ্রিল লুবনা ও এ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। দুটি হাসপাতালই ‘না’ করে দেয়। পরে তাকে উত্তরায় নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হয়ে পড়লে, কভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ দেখার পর উন্নত চিকিৎসার্থে মাহমুদাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ হাসপাতালে ১৩ এপ্রিলের পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়লে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মাহমুদাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ দিতে থাকে। আলাদা একটি কামরায় ভেন্টিলেশনে ছিলেন মাহমুদা। তবু তাকে নিজেদের ব্যবস্থায় অন্যত্র নিয়ে যেতে পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ দিতে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বেলা ২টার দিকে মাহমুদার ভেন্টিলেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৯ দিন পর ২৩ এপ্রিল তিনি মারা যান।

জিয়া তার চিঠিতে লিখেছেন, ‘ইউনাইটেড হাসপাতাল লাইফ সাপোর্টে থাকা একজন রোগীকে যেভাবে জোরপূর্বক রিলিজ করল তা নজিরবিহীন, অনৈতিক ও বেআইনি।’ ইউনাইটেড হাসপাতালের পরিচালক (যোগাযোগ ও ব্যবসা উন্নয়ন) সাগুফতা আনোয়ার বলেন, পরিবারের সঙ্গে আলোচনাক্রমে রোগীকে রিলিজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সাধারণ রোগীরা যাতে করোনায় সংক্রমিত না হন, সে জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে কভিড-১৯ রোগী চিকিৎসার জাতীয় দিকনির্দেশনা আমরা অনুসরণ করেছি। আমাদের হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত নয়।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়