রহিদুল খান, যশোর প্রতিনিধি: : [২] যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে।
[৩] কর্তৃপক্ষ বলছেন, তাদের ল্যাবে রিএজেন্ট ফুরিয়ে গেছে। নতুন করে রিএজেন্ট সরবরাহ করার জন্য যশোরের সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছে। সিভিল সার্জন চাহিদাপত্র ঢাকায় পাঠিয়েছেন বলে যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।এছাড়া প্রফেসরদের নেতৃত্বে প্রথম যে টিমটি নমুনা পরীক্ষা করতো তাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। নতুন টিম দায়িত্ব নিয়েছে। এছাড়া এখন জেনোম সেন্টারের ল্যাব পরিষ্কার (ক্লিন) করার কাজ চলছে। ফলে আগামী দুই-তিন দিন এখানে পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
[৪] যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, আগামী দুই থেকে তিনদিন দরকার হবে ল্যাব পরিচ্ছন্ন করাসহ কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ শেষ করতে। ফলে শুধু চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা নমুনাগুলোর পুনঃপরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতে পারে এই সময়কালে।
[৫] বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যবিপ্রবিতে নমুনা পরীক্ষার কাজ করে সাতজনের একটি টিম। এর মধ্যে পাঁচজন সরাসরি ল্যাবে কাজ করেন; দুইজন থাকেন লজিস্টিকে। বিভিন্ন জেলা থেকে নমুনাগুলো বিচ্ছিন্ন সময়ে আসায় সারারাত জেগে কাজ করতে হয় টিমকে। তাদের পর্যাপ্ত রেস্ট দরকার। তাছাড়া একটি টিমকে দিয়ে ক্রমাগত কাজ করানো বাস্তবসম্মতও না। ফলে টিম বদল করতেই হবে। প্রথম ড. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বাধীন টিম যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারে নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু করে। এই টিমের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এখন মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. সেলিনা আক্তারের নেতৃত্বাধীন টিম কাজে নেমেছে। এই গ্রুপে ড. শিরিন নিগার রয়েছেন রিপোর্টিংয়ে দায়িত্বে।
[৬] এই সময়কালে নতুন কোনো নমুনা জবিপ্রবিতে না পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনদের। সেই অনুযায়ী সিভিল সার্জনরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে নমুনা পাঠাচ্ছেন। দুই-তিন দিনের মধ্যে যবিপ্রবি ল্যাব ফের প্রস্তুত হয়ে যাবে। তখন আবার পূর্ণোদ্যমে পরীক্ষা শুরু হবে।
যবিপ্রবি উপাচার্য ড. আনোয়ার বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাক্তারসহ নমুনা পরীক্ষার কাজে নিয়োজিতদের অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটি ‘খুবই দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করে ড. আনোয়ার বলেন, ‘ওই সব স্থানে হয়তো সঠিকভাবে বায়োসেফটি মানা হচ্ছে না। সেকারণে এমনটি হতে পারে। যবিপ্রবি ল্যাবে ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বায়োসেফটি বিধি মেনে চলা হচ্ছে। ফলে এখানে নমুনা পরীক্ষার কাজে নিয়োজিতদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :